ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

নকশি-সুচিশিল্পে জামালপুরের ৫০ হাজার নারী

শফিক জামান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১০

জামালপুরের নারীদের হাতে তৈরি নকশিকাঁথা, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবিসহ নানা নকশি পণ্যের সুনাম ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে। দেশ-বিদেশে চাহিদা বৃদ্ধির সাথে ব্যাপকভাবে প্রসার ঘটেছে এখানকার হস্তশিল্পের।

আর ঈদ উপলক্ষে এর চাহিদাও বেড়ে যায় অনেক। ঈদে নকশি সুচি পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে এখন ভীষণ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে জেলার সুচি শিল্পীদের।
 
জামালপুর জেলায় সবমিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি নারী কর্মী জড়িয়ে আছেন নকশি সূচিশিল্পের সাথে। সুই-সুতায় নানা ডিজাইন, রঙ আর বর্ণে তারা ফুটিয়ে তোলেন নকশিকাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজসহ নানা পোশাক। মানের দিক থেকে উন্নত এখানকার নকশি সুচিপণ্য ইতিমধ্যে ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরের বাজার দখল করেছে। একই সাথে ক্রমবর্ধমান হারে এই পণ্যের প্রসার ঘটেছে বিদেশেও। ঈদকে সামনে রেখে এখানকার নকশি পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে এখন দিনরাত কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।

ওয়াজেদ হোসেন, শিখা সাহা, মলি বেগমসহ বেশ কয়েক জন মাঝারি উদ্যোক্তা জানান, এবার ঈদে দেশের বড় বড় শহরের শো-রুমের জন্য নতুন নতুন নকশার নকশিকাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, লেহেঙ্গা পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া তৈরি করেছেন তারা। এখানকার হাতে তৈরি নকশি পণ্যের দামও এবার তুলনামূলক কম।

এবার নকশিকাঁথা বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকা, বেডকভার ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, কুশন কভার ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, পিলু কভার ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা, শাড়ি ১৫০০ থেকে ১০০০০ টাকা,  সুতি সুতি পাঞ্জাবি ৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা, সিল্ক পাঞ্জাবি ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, থ্রি পিস ৫৫০ থেকে ৩০০০ টাকা, ফতুয়া ২৬০ থেকে ১২০০ টাকা, কটি ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, ওয়ালমেট ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ব্যাগ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পার্স ২৫ থেকে ২০০ টাকা, শিশুদের ফ্রক ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৫০, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।