যান্ত্রিক জীবন আমাদের, ঘড়ির কাটার সঙ্গে চলেও পারি না। মনে হয়, সময়ের আগে চলতে পারলে একটু বিশ্রাম পাওয়া যেত।
হ্যাঁ কর্মজীবী মেয়েদের জীবনটা যেন এমনই। দম ফেলার সুযোগ নেই। সারা দিন যেন কেটে যায় নানা কাজে। মনে হয়, দিনটি ৪৮ ঘণ্টা বা তার চেয়েও দীর্ঘ হলে ভালো হতো।
এতোসবের মধ্যে নিজের জন্য একটু সময় রাখার কথা তো ভাবাই যায় না। তবে আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা করে সময় মতো কাজ করতে পারেন, তবে কিছুটা সময় বের করা খুব কঠিন হবে না।
এক্ষেত্রে পরিবারের সবাইকে বোঝান আপনি এতোসব দায়িত্ব হাসিমুখে পালন করতে কত কষ্ট করছেন। সবাই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলে আপনার কষ্টও কমবে। আর সবার অংশগ্রহণে আনন্দের সঙ্গে কাজও হয়ে যাবে। আর এতে করে সব চেয়ে ভালো যা হবে, সবাই নিজেকে পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শিখবে এবং ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।
কাজ সহজ করতে যা করবেন:
সারা সপ্তাহের কাজের একটা তালিকা করে নিন। সব কাজ নিজের কাঁধে না রেখে সবার মাঝে কিছু কিছু দায়িত্ব ভাগ করে দিন।
বাচ্চাদের সকালে স্কুলে কী টিফিন নিয়ে যাবে, আপনার এবং কর্তার দুপুরের খাবারে কী কী আইটেম থাকবে তা রাতেই ঠিক করে ফেলুন।
অফিসে যাওয়ার জন্য পরদিন কোন পোশাক পরবেন, রাতেই গুছিয়ে রাখুন।
কাজের সহকারীকে বুঝিয়ে দিই, পরদিন খাবারের পদ কী হবে।
অনেক সময় তাড়াহুড়োয় ঘরে তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায় না । এক্ষেত্রে গাড়িতে বসেই নিজেকে সাজিয়ে নিন।
পত্রিকা পড়া, গান শোনা, গল্পের বই পড়া, পুরোনো বন্ধু এবং আত্মীয়দের খোঁজ নেওয়ার জন্য যানজটের সময়টা কাজে লাগান।
স্বামীকে সংসারের কিছু দায়িত্ব দিন। সন্ধায় তিনি একটু বাচ্চাদের লেখাপড়াটা দেখে দিলেন। অফিস থেকে ফেরার সময় তিনি যদি প্রয়োজনীয় বাজার করে আনেন, তবে আপনার অনেকটা সময় বেঁচে যাবে।
সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়, চেষ্টা করুন রাতের খাবার টেবিলে সবাই একসঙ্গে খেতে। কার কী প্রয়োজন তা আলোচনা করে নিন এ সময়ই।
সপ্তাহে একদিন কেনাকাটা সেরে ফেলুন।
যখন যে কাজটি করবেন আনন্দ এবং মনোযোগের সঙ্গে করুন। নিজেকে ভালোবাসুন। ভালো থাকুন।
ইমেইল: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১১