আমাদের ত্বকে সমস্যা তৈরি হওয়ার মূল কারণ ত্বকের জমানো ধুলা-ময়লা। আর তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা দ্রুত আটকে যায়।
সব সমস্যারাই কিন্তু সমাধানের পথও রয়েছে। ত্বক তৈলাক্ত এজন্য ঘাবরে যাবার কিছু নেই। নিয়মিত পরিচর্যা আর খানিকটা সচেতন হলেই তৈলাক্ত ত্বকও হয়ে উঠবে মসৃণ, কোমল আর সমস্যামুক্ত।
আসুন, তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা সম্পর্কে আমরা জেনে নেই:
মুখ ছোঁয়ার আগে আমাদের অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে যাতে হাতে লুকিয়ে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আর ময়লা আমাদের ত্বক পর্যন্ত না যেতে পারে।
ব্রণের সমস্যার প্রতিকারে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ বাজারজাত পণ্য ব্যবহার করার চেয়ে ঘরোয়া সামগ্রীই সবচেয়ে ভালো আর নিরাপদ। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও ভয় থাকেনা। যেমন,ব্রণ শুকাতে আমরা ব্রণের ওপর টুথপেস্ট অথবা ক্যালামাইন লোশন ব্যাবহার করতে পারি। এগুলো রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেললেই ব্রণের দাগ অনেকটুকুই কমে যাবে।
একটি ভালো ফেস-মাস্ক ব্যাবহারেও ভাল ফলাফল পেতে পারি আমরা। ফলের মাস্ক লাগিয়ে দশ থেকে পনের মিনিট পরে ধুয়ে ফেলে বেশ উপকার পেতে পারি। আর রসুনে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-বায়োটিক থাকায় ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে রসুনের পেস্ট ব্যবহারও ভালো।
মাথার চুল মুখের ওপর যেন না এসে পরে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজে আমাদের চুলে অনেক ময়লা, ধুলো-বালি জমে। আর এসব থেকে জীবাণু ত্বকের সংস্পর্শে এসে আমাদের ত্বকে নানা সমস্যার সৃস্টি করে।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই নখ দিয়ে ব্রণ খোটার বাজে অভ্যাস রয়েছে। আমাদের বুঝতে হবে এটা কোন সমাধান না। উল্টো এতে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এর ফলে ব্রণ লাল হয়ে যাবে। এমনকি তা ফেটে গিয়ে মুখে দাগের সৃস্টি করবে। তাই ক্ষত জায়গায় কোন ওষুধ লাগানোর সময় সাবধানতা বজায় রাখতে হবে।
ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত মেক-আপ ব্যবহার না করাই উচিত। দিনে অন্তত দুই বার তেল-মুক্ত ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আর সপ্তাহে দুই দিন আমরা স্ক্র্যাবও ব্যবহার করতে পারি। তবে ত্বকে স্ক্র্যাব লাগানোর সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তা খুব জোরে না হয়। এতে ত্বক তার স্বাভাবিক আদ্রতা হারিয়ে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
নিয়মিত কিছুক্ষণের যত্নের মাধ্যমেই ত্বকের বাড়তি তৈলাক্তভাব দূর করে কোমল, মসৃণ, উজ্জ্বল ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে পারি।
মডেল: সুজানা
ছবি: নূর