কল্পনা করুন তো বিকেলের মিষ্টি রোদে তাবুতে বসে গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছেন, আর হঠাৎই লক্ষ করলেন একদল বুনো হরিণ আপনার চারপাশে চড়ে বেরাচ্ছে; আসলেই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, তাই না? এই বিরল মুহূর্তটি উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে নিঝুম দ্বীপে। নদী আর সাগরের মোহনায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এই দ্বীপটি যেন হয়ে উঠেছে হরিণের স্বর্গরাজ্য।
দ্বীপটির নাম নিঝুম দ্বীপ হলেও এটি কিন্তু আসলে নিঝুম নয়। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপটিতে প্রায় ১২হাজার লোকের বসবাস। এই দ্বীপটি দুই ভাগে বিভক্ত, একটি হচ্ছে লোকালয় এবং অন্যটি চিত্রা হরিণের অভয়ারণ্য (শালবন)।
দ্বীপটির মূল আকর্ষণ হরিণের অভয়ারণ্যটি। এখানে আপনি উপভোগ করতে পারবেন হাজার হাজার হরিণের অবাধ বিচরণের বিরল দৃশ্য। আপনারা হয়তো সমুদ্র দেখেছেন, কিন্তু নদী আর সমুদ্রের মোহনা যে এক অপরূপ সৌন্দর্যের অবতারণা করেছে তা নিঝুম দ্বীপে না গেলে অপূর্ণই থেকে যাবে। শালবনের ভেতর তাবুতে ক্যাম্প ফায়ারের অভিজ্ঞতাও আপনাকে রোমাঞ্চিত করে তুলবে।
কোথায় থাকবেন:
নিঝুম রিসোর্ট নামে নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য একটি ভালো মানের রিসোর্ট। নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিঝুম রিসোর্টের ইনচার্জ বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকেও এ রিসোটের বুকিং দেওয়া যায়। ফোন-০১৭২৪-১৪৫৮৬৪।
তাছাড়া এখানে বন বিভাগের একটি চমৎকার বাংলো আছে। পাশেই আছে জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলো। এ গুলোতে আগেভাগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা যায়।
এছাড়াও রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন শেল্টারেও থাকার ব্যবস্থা করা যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ দ্বীপে অনেকেই আছেন খুব বন্ধুবৎসল। পর্যটকদের এরা খুব সম্মানের চোখে দেখেন।
নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। তবে নামা বাজার এলাকায় রাত এগারটা পর্যন্ত জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় লোকজন।
কীভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সহজ রুট সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে হাতিয়ার তমরুদ্দি। এ পথে এমভি পানামা এবং এমভি টিপু-৫ নামে দুটি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। যোগাযোগের ফোন-০১৯২৪০০৪৬০৮ এবং ০১৭১১৩৪৮৮১৩।
এই ঈদে আপনিও সবান্ধব ঘুরে আসতে পারেন রহস্যময় এ দ্বীপটিতে।