শুভ্রা আর রিয়াদের তিন বছরের বিবাহিত জীবন। তারা একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেন।
দারুন চটপটে শুভ্রা খুব সহজেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে। মেধাবী, পরিশ্রমী, আকর্ষণীয় শুভ্রার সঙ্গে অল্প দিনের পরিচয়েই রিয়াদ সিদ্ধান্ত নেয়, সারা জীবন এক সঙ্গে থাকার। যেই কথা সেই কাজ, বিয়ের পর সময়গুলো যেন একটু বেশিই দ্রুত চলে যাচ্ছিল, ভালোবাসা আর সুখের ছড়াছড়ি জীবনের সবখানে। তাদের এই সুন্দর গোছালো জীবনে ঝড় হয়ে এলো শুভ্রার পদোন্নতি।
ধীরে ধীরে রিয়াদের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করে শুভ্রা। প্রথমে পাত্তা দেয়না, মনে করে কিছু দিন গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
অফিসের কোনো বিষয়ে রিয়াদ শুভ্রাকে কোনো সাহায্য করে না বরং সে ভালো কোনো কাজ করলেও সমালোচনা করে।
অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা নিয়েও খারাপ মন্তব্য করতে ছাড়ে না সে। এমন অবস্থায় শুভ্রার খুব অসহায় লাগে, সে বুঝতে পারেনা কেন রিয়াদ এমন করছে, এখন শুভ্রা কী করবে:
স্ত্রীর প্রতি:
- সঙ্গির সঙ্গে কথা বলুন
- জানতে চেষ্টা করুন কেন তিনি এমন করছেন
- তাকে বোঝান, কাজ করলে তিনিও সফল হবেন
- সঙ্গিকে অকপটে বলুন, আপনার উন্নতির পেছনে তার সহযোগীতা বড় ভূমিকা রেখেছে
- এজন্য আপনি তার কাছে কৃতজ্ঞ
- কথনোই নিজের পোস্ট সেলারি নিয়ে সঙ্গিকে খোচা দিয়ে কথা বলবেন না
- অফিস এবং সংসারের সব বিষয়ে সঙ্গির মতামতের গুরুত্ব দিন
- জরুরি বিষয়ে একা সিদ্ধান্ত নেবেন না
- সঙ্গির পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন
- বিনয়ী হোন, সঙ্গিকে সাহায্য করুন, তার লক্ষ্য অর্জনে
স্বামীর প্রতি:
- প্রতিটি ভালো কাজের স্বীকৃতি সবাই আশা করেন
- স্ত্রী যদি তার কাজ দিয়ে এগিয়ে যায়, তাকে অভিনন্দন জানান
- তার উন্নতিতে জেলাস না হয়ে তাকে নিয়ে ছোট পার্টি দিন
- এ উপলক্ষ্যে স্ত্রীর প্রিয় কিছু উপহার দিন
- নিজের কাজের প্রতি আরও মনযোগী হন
- দুজন আলোচনা করে সব সিদ্ধান্ত নিন
দাম্পত্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং সমঝোতা থাকলে আমাদের ব্যক্তি জীবনে এবং কর্মজীবনে ঈর্সনীয় সাফল্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।