আজ খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেল চৈতির। সে দেখে জয় তার আগেই উঠে বেসে আছে।
জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী আমরা প্রিয়জনের সঙ্গে ঘটা করে পালন করি, তার যেকোনো অর্জনে একসঙ্গে আনন্দ করি। তবে তার দুঃখ, কষ্ট দুঃসময় এগুলোর ভাগ নেওয়ার মানসিকতাও তৈরি করতে হবে।
- প্রিয়জনেরমন খারাপে তার পাশে থেকে সাহস যোগাতে হবে
- তাকে সময় দিতে হবে, সে যদি একা থাকতে পছন্দ করে তবে কিছু সময়ের জন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে
- প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তার প্রিয় কোনো জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া যায়
- পছন্দের কোনো খাবারের দোকানে খেতে পারেন
- ফুল, বই, গানের সিডি, পারফিউম অথবা তার প্রিয় কোনো কিছু গিফট করতে পারেন
- কাছের বন্ধুদের ডাকা যেতে পারে
- বাড়িতে কোনো আয়োজন করলে তাকেও কিছু কাজের দায়িত্ব দিন, কাজে মনোযোগী হলে মনখারাপ ভাব কমে যাবে।
- তাকে গুরুত্ব দিয়েই এতো সব করা হচ্ছে এটা তাকে বোঝাতে হবে
তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো আয়োজনই যেন উৎসবের পর্যায়ে চলে না যায়। কেননা, এতে প্রিয়জনের মন ভালো হওয়ার পরিবর্তে আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
মানুষের জীবনে দুঃসময় কখনো স্থায়ী হয় না, তবে একেবারে খারাপ সময় আসবেনা এটা ভাবাও ঠিক নয়। আর দুঃসময়ে বন্ধুর পাশে থাকাই তো প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয়।