এক সময়ের ঘরকুনো বাঙ্গালি আজকাল প্রায়ই ছুটিছাটা পেলে বেরিয়ে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে। এমনকী অনেক পরিবার সারা বছর ধরে টাকা জমায় বেড়াতে যাবার জন্য।
বর্তমানে বেশ কয়েকটি পর্যটননির্ভর সংস্থা গড়ে উঠেছে। ফলে অনেক সহজেই আপনি পর্যটন সংস্থার ওপর দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়তে পারেন আপনার পছন্দের জায়গায়।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, বিজ্ঞানমনস্ক একদল তরুণ মিলে ১৯৮৮ সালে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে। সংগঠনের সদস্যরা তাদের নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃতি ও বিজ্ঞানের নানা রহস্য গুরুত্বের সাথে তরুণদের সামনে তুলে ধরে তাদের এ বিষয়ে আগ্রহী করে তুলছে। পাশাপাশি তথাকথিত থার্টি ফাস্ট নাইটে চর্চিত বিদেশি সংস্কৃতি বর্জন করে দেশিয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বর্ষবরণ করার পরিকল্পনা নিয়ে এই এসোসিয়েশন থেকে ২০০০ সালে প্রথম সূর্যোৎসবের আয়োজন করা হয। এ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য, শহুরে জীবন ব্যবস্থা থেকে দুরে অভিনব এ উৎসব উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে অজপাড়াগাঁয়ের অনগ্রসর শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞান ও প্রকৃতির নানা রহস্যময়তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াও এর অন্যতম উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথম বছর সূর্যোৎসব করা হয় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। পরবর্তীতে সুন্দরবন, কেওক্রাডং, নিঝুম দ্বীপ, তেঁতুলিয়া, বিরিশিরি, টাঙ্গুয়ার হাওর, রাঙ্গামাটির পাবলাখালী জঙ্গল, খাগড়াছড়ি এবং শেরপুরে করা হয় এ সূর্যোৎসব। এ উৎসবের একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে একবছর জলে তো অন্য বছর স্থলে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের সূর্যোৎসব হবে- ভোলা জেলার নৈসর্গিক এলাকা চর কুকরি মুকরিতে। এবছর সূর্য উৎসবের বয়স হবে ১২ বছর। এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে একটু অন্যরকম ভাবে এবারের উৎসব পালনের চিন্তা রয়েছে আয়োজকদের। বিজ্ঞান ও প্রকৃতি প্রেমিক, অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় যে কেউ এ উৎসবে যোগ দিতে পারবেন। ফোন: ০১৭১৩০৯১৯৭১ ।