এক লোক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কমানোর পরামর্শ নিতে। ডাক্তার তাকে সকাল আর রাতে রুটি আর দুপুরে অল্প পরিমাণ ভাতের সাথে বেশি করে সবজি খেতে বললেন।
ডাক্তারকে দোষলেন তার বর্তমান অবস্থার জন্য। ডাক্তার জানতে চাইলেন, তিনি তার পরামর্শ অনুযায়ী চলেছিলেন কিনা। লোকটা জবাব দিলেন- আপনি যেভাবে খেতে বলেছিলেন সেভাবেই খেয়েছি কিন্তু.....। ডাক্তার জিজ্ঞাসা করলেন- কিš‘ কি? ঐ লোকটা বলল- সকালে রুটি খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর আবার ভাত খেতাম, দুপুরে সবজি দিয়ে খাবার পর আবার মাংস দিয়ে খেতাম আর বিকেলের নাস্তায় বার্গার অথবা পিৎজা খেতাম এবং রাতের বেলা মাংস দিয়ে রুটি খেতাম। ক্ষুধা লাগলে আমি আবার চোখে দেখিনাতো। ডাক্তারেরতো মাথায় হাত.......
হ্যাঁ, স্বাস্থ্য কমানোর জন্য কারো কারো চেষ্টার কোন কমতি নেই। কেউ না খেয়ে, কেউ সকাল বিকাল পার্কে দৌড়ে কিংবা হেঁটে, জিমে গিয়ে, ব্যায়াম করে, সব মিলিয়ে বেশি স্বাস্থ্যকে যারা বিড়ম্বনা হিসেবে দেখেন, তাদের মনোকষ্টের শেষ নেই। কেউ কেউ আবার উপরোক্ত ব্যক্তিটির মতও করে বসেন।
আমরা অনেকেই বাড়তি ওজন কমাতে চাই, তারা না খেয়ে থাকার চেয়ে আজ থেকে এমন সব খাবার খাওয়া শুরু করুন যেগুলো ভিটামিন সমৃদ্ধ ও পাশাপাশি আপনার শরীরের মেদকেও কমিয়ে আনবে। ঠিক তেমনই কয়েকটা খাবার হলো অলিভ ওয়েল, আপেল, টমেটো, নারকেল, লেবু, গ্রিণ, আখরোট, আঙ্গুর, দই, আলুবোখারা, গাজর, কলা, যব, মিষ্টি আলু, বিট, তিশি, নাশপাতি, মাছ, কমলা, ব্রোকলি, ডিম এবং পনির।
মনে রাখবেন পেটে বেশি চর্বি হওয়া মানেই রোগের ছড়াছড়ি। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বাড়বে রক্তে চর্বি, হৃদরোগ হওয়ার ঝুকি থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে না। তেমনি বেশি মাত্রার ওজন তৈরি করে এসব কঠিন ও জটিল রোগ। এ ছাড়া দেহের ওজন বাড়া মানেই তো একটি রোগ। তা থেকে জন্ম নেয় আরও অনেক রোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন মানুষের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যতটুকু ওজন দরকার, তার চেয়ে তিন কেজি বেশি হলেই ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা ২৫-৩০ ভাগ বেড়ে যায়।
আর রক্তচাপ বাড়ার ফলে হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৪০ ভাগ বেড়ে যায়। মাত্র এক কেজি ওজন বাড়াতেই অস্থি’ সন্ধিগুলোতে আর্থাইটিস হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১০ ভাগ বাড়ে। এ ধরনের গবেষণা আরও হ”েছ। এটা সত্যি যে পেট মোটা আর অতিরিক্ত ওজন মানেই অসু¯’তার লক্ষণ।
তাই জীবনধারায় পরিবর্তন আনুন ধীরে ধীরে, ওজনও ধীরে ধীরে কমান। দৈহিক শ্রম দিন। খাবারে সতর্ক হোন। জীবনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে শিখুন। ফলমূল, শাকসবজি খাওয়ার একদম অভ্যাস না থাকলেও কম কম খেতে চেষ্টা কর“ন। লিফটে না উঠে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন।