ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বন্ধুর আকুতি

দিদার খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১২
বন্ধুর আকুতি


নিয়াজ, শুধু একটি বার তুমি স্বপ্ন ওড়াও, ফিরে চাও...

এই প্রাণবন্ত মুখটি আমাদের এক প্রিয় বন্ধু, নিয়াজ মোর্শেদের। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের একজন মেধাবী ছাত্র সে।

এবছর জানুয়ারীতে সাফল্যের সঙ্গে প্রথম শ্রেণীতে বি.ফার্ম ডিগ্রি অর্জন করে সে। একজন প্রতিষ্ঠিত ফার্মাসিস্ট হিসাবে যখন তার ক্যারিয়ার গড়ার কথা, সেখানে ভাগ্যের নির্মম নিষ্ঠুরতায় তাকে লড়াই করতে হচ্ছে মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে। অথচ কিছুদিন আগেও ওর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কতোই মধুর দিন কাটিয়েছি, হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল ভাবে কেটেছে তার প্রতিটি মুহূর্ত।

সবসময় হাসিখুশি এই ছেলেটির শরীরে কি ভয়ংকর অসুখ লুকিয়ে ঘর বেধেছে, তা তখনো জানতে পারিনি। হয়ত, সে নিজেও জানতো না। লিউকেমিয়া নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চটপটে ছেলেটি আজ বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না। পুরোটা সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকে।

ডাক্তারদের ভাষ্যমতে তার লিউকোমিয়া এখন চতুর্থ স্তরে, এই রোগটির দ্রুত চিকিৎসা করানো না গেলে রোগীকে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা যায় না। একসময় সে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় মাতিয়ে রাখতো, অথচ আজ আমাদের প্রিয় বন্ধুটির সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ডাক্তাররা বলেছেন, খুব শীঘ্রই বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে, তা না হলে হয়ত তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না! ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যেতে হবে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে। এর জন্যে প্রয়োজন প্রায় ৬০ লাখ টাকা। তার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এতোগুলো টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাদের যা আছে তাই নিয়ে তারা ঝাপিয়ে পড়েছেন তাদের একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে। কিন্তু তারপরও আরো অনেক টাকার প্রয়োজন। কিছু টাকার জন্য দেশের সম্পদ এমন একজন মেধাবী তরুণের প্রাণবায়ু এভাবে আমরা শেষ হতে দিতে পারিনা। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে হয়তো বেঁচে যাবে আরেকটি মেধাবী প্রাণ।

ফেসবুক/ ব্লগে কত কিছুই না করি আমরা। কত দ্রুতই আমরা একটি সাহায্যের আবেদন ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে। কতজনের জন্যেই তো আমরা আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, কত মায়ের মুখেই আমরা হাসি ফোটাই তার সন্তানকে সুস্থ হতে সাহায্য করে।

আসুন না, আরো একটিবার আমার এই বন্ধুর সাহায্যে এগিয়ে আসি। চট্টগ্রাম পুলিশ ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক বাবা দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে ঘরে বন্দী, মা গৃহিণী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া একমাত্র ছোটবোন; তারা তো আমাদেরই প্রিয়জন। আসুন না, সবাই নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু পারি, একটু সাহায্য করি। হাসি ফোটাই পরিবারটির মুখে...

আমরা যারা ওর সহপাঠী, মোটামুটি তাদের সবার সাথেই যোগাযোগ হয়েছে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে যতভাবে সম্ভব সাহায্য করছে। আমরা সবাই কি পারিনা এই দু:সময়ে নিয়াজের বাবার পাশে দাঁড়াতে, তার মনে একটু সাহস যোগাতে। তার মনে কি আমরা এইটুকু আশ্বাস জোগাতে পারিনা যে আমরা আমাদের ভাইকে বিনা চিকিৎসায় হারিয়ে যেতে দেবে না।

সাহায্য পাঠানোরর জন্য, নিয়াজের বাবার ব্যাংক একাউন্ট:

 Account name: MD. AKHTAR HOSSAIN

Account No: 0129.101.209 750

Dutch-Bangla Bank Limited, CDA Avenue Branch, Chittagong.

 দিদার খান:০১৭২৩০৫৪৪১৩

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।