বাড়িতে অতিথি থাকায় তাদের সঙ্গ দিতে, গল্প করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। আর সকাল ৮ টায় অফিসে থাকতে হয়, তার মানে খুব ভোরে উঠেতে হয়, তাই গত কয়েক দিন ধরে রাতে ঘুমাতে পারছে না তানিয়া।
শান্তর সমস্যা অন্য, সে কিছুদিন ধরে রাতে ঘুমাতে পারছে না। কারন ঘুমাতে গেলেই তার মনে হয় সে ঘুমাতে পারবে না। যা ভাবে তাই হয়। সে ঘুমাতে পারে না।
শুধু শান্ত বা তানিয়া নয়, আমাদের অনেকেরই এই সমস্যা হয়। বাড়িতে অতিথি আসবেই, তাদের জন্য আমাদের জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন হবেই। তাই বলে কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনে শান্তির ঘুম যেন আজকাল কল্পনার বিষয়। কিন্তু আসলেই কি তাই?
আমাদের জীবন যাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে দিতে পারে গভীর ঘুম। ঘুম ভালো না হলে সারাদিনই তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং কাজের ওপর। আসুন জেনে নিই শান্তিতে গভীর ঘুমের প্রস্তুতির জন্য কি কি করতে পারি:
- বাইরে থেকে ফিরে গোসল সেরে নিন। সারা দিনের কান্তি এক নিমিষে চলে যাবে
- এক গ্লাস গরম দুধ খান
- ঘুমোতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করুন
- পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেই করে ফেলুন, টেনশনে ঘুম নষ্ট হবে না
- বিছানায় যাওয়ার অনেক আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিন
- চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার
- শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না
- রাত ১০টা / ১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এ সময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
- পারলে সন্ধ্যার পরই চা-কফি খাওয়া বন্ধ করে দিন
- সফট্ মিউজিক শুনুন
- শোবার ঘরে বেশি আলো ঢুকে যেন ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায় না নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভারি পর্দা ব্যবহার করুন
- বাড়িতে অতিথি এলে তাদের সময় নিশ্চয় দেবেন। তবে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে নয়
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনোই ভাববেন না যে ঘুম আসবে না
- দিনে কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারেন
- তবে দীর্ঘ সময় ঘুমাবেন না, এতে রাতের ঘুমে প্রভাব পড়ে
- প্রতিদিন এক সময়ে বিছানায় যেতে এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস তৈরি করুন
ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে নিয়মগুলো মানতে শুরু করুন।