বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রুপসী বাংলা, রুপের যেথা নেইকো শেষ- আমাদের দেশের কবি, সাহিত্যিকরা বাংলার এই অপার সৌন্দর্যকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন। কিন্ত শহরায়নের ফলে এর সৌন্দর্যে কিছুটা প্রভাব পড়লেও এখনো সেই সৌন্দর্যের বর্ণনা খুঁজে পেতে পারেন অর্ধশত নান্দনিক দর্শনীয় স্থানের রাজ্য, সবুজ পাহাড়ে ঘেরা পাহাড়ী জেলা বান্দরবানে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে নিলাদ্রী অন্যতম। সবুজের বুকে আপনার ভ্রমণ আনন্দঘন করে তোলার জন্য উপযুক্ত পর্যটন স্পট হিসাবে নিলাদ্রীকে বেছে নিতে পারেন। নিলাদ্রীর অপার সৌন্দর্য দেশের যেকোন পর্যটনস্পটের তুলনায় যে কোন অংশে কম নয় তা স্মরন করিয়ে দেবে আপনাকে। যানজট, কোলাহলের শহর ছেড়ে খনিকের জন্য নির্জনতার মাঝে হারিয়ে যেতে যদি মন চায়, তবে চলে আসুন বান্দরবান।
নিলাদ্রী পর্যটন কেন্দ্রটির অন্যতম বৈশিষ্ট হল আমাদের দেশে পর্যটন মৌসুম বলে শীত মৌসুম ছাড়াও বছরের ১২ মাসেই শীতের আমেজ পাওয়া যায় সে কারনে বছরের যেকোন সময়ে আপনার ভ্রমনের জন্য বেছে নিতে পারেন। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হয় এখানে। মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে চাহিদা অনুসারে পর্যটকদের জন্য যে কোন খাদ্য সরবরাহ করা হয়। পাশেই রয়েছে নিলাদ্রী কেন্টিন সেখানে বিরানী, কফিসহ যেকোন কিছু আপনার হাতের নাগালে। বান্দরবান শহর থেকে সর্পিল আঁকাবাঁকা পাহাড়ের পথ বেয়ে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরের পর্যটন কেন্দ্র চিম্বুক আর চিম্বুক থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বান্দরবান থানচি সড়কের পাশেই সেনাবাহিনী পরিচালিত পর্যটন কেন্দ্র নিলাদ্রী। প্রধান সড়ক থেকে সিঁড়ি বেয়ে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে নীলাদ্রীর মূল স্পটে। পাহাড়ের সুউঁচ্চ চূড়ায় এর অবস্থানের কারণে এর ওপর থেকে দূর পাহাড়ের সাথে রাশি রাশি নীল আর নীল আকাশের সম্পর্ক, সারিবদ্ধ রঙ-বেরঙ-এর মেঘমালার চলাচলের দৃশ্য সত্যি আপনাকে মুগ্ধ করবে। আকাশের মেঘমালা অনেক নিচে নেমে আসার কারণে মেঘের ভেতর হারিয়ে যেতে পারেন অনায়াসে।
আপনাকে কাছ থেকে দেখে নিতে পারেন এখানে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবন যাপন।
বর্তমানে পর্যটকদের জন্য ৮টি রুম নিয়ে নিলাদ্রীকে সাজানো হলেও আগামীতে পর্যটন কেন্দ্রটি নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা আছে সংশ্লিষ্টদের। মাত্র ১ হাজার থেকে ১৬শ টাকার মধ্যে রাত্রীযাপন করা যায়।
ঢাকা থেকে বান্দরবানে আসা পর্যটক এনামুল হক বলেন, নিলাদ্রীতে আসার সড়ক পথের সংস্কার করা হলে পর্যটক আসার পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে।