নগরদোলার অন্যতম বৈশিষ্ট হলো সংস্কৃতির শিল্পসম্মৃদ্ধ বিষয়ের অণুপ্রেরনায় পোশাকে অলংকরনের সুনিপুণ ব্যবহার। প্রতিবারের মত এই বৈশাখেও নগরদোলা বেছে নিয়েছে বিশ্বনন্দিত ইন্দোনেশিয়ান বাটিক এর উল্লেখযোগ্য কিছু ডিজাইন।
এই ডিজাইনগুলি থেকে মোটিফ নিয়ে সেগুলো সংযোজন বিয়োজন করে আরও অলংকরনের মাধ্যমে এবারের বৈশাখের বিভিন্ন পোশাকের মধ্যে চমৎকারভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। পোশাকে এসেছে নতুনত্ব ও ভিন্ন মাত্রা। এছাড়াও কাটিং প্যাটার্নে নিয়ে আসা হয়েছে এ সময়ের ট্রেন্ডি ও প্রচলিত ভাবধারা। বেশ কিছু পোশাকে, এবারের ট্রেন্ড লং কামিজ তৈরি করা হয়েছে।
বৈশাখের উৎসব গরমের মধ্যে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নগরদোলা সব সময় হালকা সুতি কাপড়ের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। নগরদোলায় এবার বৈশাখের পোশাকে পাওয়া যাবে নানা ধরনের আরামদায়ক কাপড়ের সমাহার সুতি, তাঁত, ভয়েল, নিপ, স্লাব, মসলিন, এন্ডি ইত্যাদি। রঙ নির্বাচনেও নগরদোলা সবসময় ঋতু, প্রথা ও ট্রেন্ডকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ জন্য প্রচলিত লাল সাদা রঙ এর পাশাপাশি অন্যান্য রঙ এসেছে এসব পোশাকে, যাতে বৈশাখ ছাড়াও অন্য সময়ে ক্রেতা সাধারণ তার পছন্দের পোশাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
নগরদোলার বৈশাখ উৎসবে আগামী সোমবার (২ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া পোশাক প্রদশর্নীতে পাওয়া যাবে, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ছেলেদের ফতুয়া, মেয়েদের ফতুয়া, স্কার্ট, টপস, শর্ট পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ সব ধরণের আইটেম। প্রচলিত ধারার পাশাপাশি অন্যান্য স্টাইলও এসেছে যেমন ঘটি হাতার পাশাপাশি স্লীভলেস, ইন্দো ওয়েস্টার্ন প্যাটার্ন ও নেকলাইনেও পরিবর্তন। সালোয়ারেও পরিবর্তন আনা হয়েছে সময় উপযোগীভাবে। এ সমস্ত পোশাকের কাজের টেকনিক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, টাইডাই, এম্ব্রয়ডারি, কারচুপি, হাতের কাজ, কর্ডিং, লেইস, প্যাঁচ পট্টি ইত্যাদি। পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ক্রেতাসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে।
সালোয়ার কামিজ- ১১৯০ টাকা থেকে ৪১৯০ টাকা
ফতুয়া (ছেলে)- ৪৯০ টাকা থেকে ৯৯০ টাকা
ফতুয়া (মেয়ে)- ৪৯০ টাকা থেকে ১০৯০ টাকা
শাড়ি- ১২৯০ টাকা থেকে ৪১৯০ টাকা
পাঞ্জাবি- ৬৯০ টাকা থেকে ১৮৯০ টাকা
স্কার্ট- ৯৯০ টাকা থেকে ১২৯০ টাকা
বাচ্চাদের পোশাক- ৫৯০ টাকা থেকে ১৮৯০ টাকা