ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ব্যানার, ফেস্টুন ও মুখোশ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২
ব্যানার, ফেস্টুন ও মুখোশ

আমাদের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চারদিকে চলছে জোর প্রস্তুতি, কোথাও যেন কমতি নেই এতটুকুও।

নতুন বছরকে বরণের জন্য প্রতিবছরই বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। আর শোভাযাত্রা মানেই হরেক রকমের মুখোশ, ব্যানার ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। বর্ষ বরণের আগে জানিয়ে দিচ্ছি ব্যানার ফেস্টুন ও মুখোশের খবর।

ব্যানার লেখাবেন যেখানে : ঢাকার বকশীবাজার, কাঁটাবন, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, যাত্রাবাড়ী, পল্টনসহ প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ব্যানারের কাজ করা হয়। তবে পাড়া বা মহল্লার দোকানগুলোতেও আজকাল ব্যানারের কাজ করা হচ্ছে। ব্যানারের জন্য সবচেয়ে ভালো হল পল্টন ও নীলক্ষেত। এখানে প্রায় ২০০-২৫০টি দোকান রয়েছে আর খরচও বেশ কম।

খরচ: ব্যানারের খরচটা নির্ভর করে মূলত কত গজের ব্যানার বানানো হচ্ছে তার ওপর। যেমন আড়াই গজ ব্যানার কাপড়সহ বানাতে খরচ হবে ডিজাইন ও ধরন অনুযায়ী ২৮০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর যদি অনেক বড় সাইজের ব্যানার বানান তাহলে গজ প্রতি খরচ পড়বে ৮০ থেকে ২৫০ টাকা।

ডিজিটাল ব্যানারের জন্য প্রতি স্কয়ার ফিট খরচ হবে ৪০ থেকে ৩০০ টাকা। এটা মূলত নির্ভর করে সাইজ আর ব্যানারটি কতোটা জাকজমক হচ্ছে তার ওপর। ডিজিটাল ব্যানার নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিজিটাল ব্যানার বানাতে খরচ হয় সাধারণত ৮০০ থেকে ৭ হাজার টাকা।            

ফেস্টুন : ব্যানারের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হল ফেস্টুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সিটি করপোরেশনের তৎপরতার কারণে বর্তমানে ফেস্টুনগুলো বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও ফেস্টুন সহজে বহনযোগ্য। স্কুল-কলেজে ভর্তি কোচিংয়ের জন্য যে ধরনের ফেস্টুন পাওয়া যায় সেগুলো বানাতে খরচ খুবই কম পড়বে আর টেকসইও বেশি।

খরচ: ফেস্টুনের খরচটা বেশ কম পড়বে যদি আপনি একসঙ্গে ১০০ থেকে ৫০০ বানান। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। তবে একটা বা দুটো করে বানালে খরচটা একটু বেশিই পড়বে। প্রতি পিস ফেস্টুনের জন্য খরচ পড়বে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবে ডিজিটাল ফেস্টুনের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মান ও এলাকা ভেদে খরচের পরিমাণটা কমবেশি হতে পারে।

বৈশাখের মুখোশ : বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখে মুখোশের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৮৮-৮৯ সাল থেকে। বিশেষ করে চারুকলা ছাত্রছাত্রীর উদ্যোগে এ মুখোশ সংস্কৃতির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। চারুকলার ভেতরে মুখোশ তৈরি করছিল, সুমাইয়া, নাহিদ ও চম্পা। অনেক বাহারি রঙের বিভিন্ন আকারের মুখোশ তৈরি হচ্ছিল।

কেউবা মুখোশে রঙ করছিলেন, কেউ রঙের মিশ্রণ করছেন, অনেকেই ঘষে নিচ্ছেন মুখোশের কাগজের আস্তরণটি, কেউ শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছেন ভালোভাবে শেষ হয়েছে কি-না। সবকিছু মিলিয়ে চারুকলার ভেতরটা যেন মুখোশের হাট। বর্তমানে বাংলাদেশে মুখোশের চাহিদা বাড়ছে। সারাবিশ্ব লোকজ ধারা থেকে আধুনিক ধারায় প্রবেশ করছে, মুখোশও এর ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে মুখোশের ওপর দেখানো হচ্ছে নানারকম কাজ।

বর্ষবরণের মঙ্গল শোভা যাত্রায় অংশ নিতে আজই খোঁজ করুন পছন্দমতো ব্যানার, ফেস্টুন ও মুখোশের।

 ছবি: নাজমুল(বাংলানিউজ)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।