যারা নানারকম মাংস আর সাগরের মাছের স্বাদ নিতে চান তাদের জন্য চট্টগ্রাম নগরীতে চলছে মাসব্যাপী খাদ্য উৎসব।
নগরীর অভিজাত এলাকা ও আর নিজাম রোডের ১নং সড়কে ওয়েল পার্কের রুফ টপ বারবিকিউতে এই উৎসব চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।
আয়োজকরা জানান, ওয়েল পার্কের রুফ টপ বারবিকিউ’র ছাদে একসাথে প্রায় ৮০ জন বসে খাওয়া যায়। শেফদের পরিবেশনা ও আতিথেয়তা মুগ্ধ করবে যে কাউকে। দেশি-বিদেশিদের জন্য ওয়েল পার্কে রয়েছে থাকারও সু-ব্যবস্থা।
রয়েছে সুবিশাল লবি, লুসাই ক্যাফে, বিজনেস সেন্টার, সেলুন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ জিমনেশিয়াম এবং গাড়ি পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেউ চাইলে পার্টি কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজনও করতে পারেন ওয়েল পার্কে। খাবার কক্ষগুলোর দেয়ালে ঝুলে থাকা মামুর আহ্সান এর তৈলচিত্র নজর কাড়বে সবার। পাহাড়ের আদিবাসীদের জীবনচিত্র এখানে শিল্পীর তুলিতে হয়ে উঠেছে জীবন্ত।
ভবনের ১০ম তলায় প্রকৃতির কোলে বসে ভোজনরসিক মানুষের জন্য খাওয়া-দাওয়ার এমন ব্যবস্থা নগরে খুব কমই আছে। ছাদ থেকে শহরের মেহেদীবাগ, প্রবর্তক মোড়, জিইসি মোড় দেখা আর দেয়ালে ঝুলে থাকা গাছের সবুজ পাতার স্পর্শ দোলা দেবে উদাসী মনকে। স্বপরিবারে কিংবা বন্ধুদের নিয়েও তাই প্রতিদিন এখানে ছুটে আসছেন অনেকে। খোলা আকাশের নিচে বসে আড্ডা দেয়া, মিউজিক সিস্টেমে ভেসে আসা গান শুনতে শুনতে মন ভরে যাবে আনন্দে। এছাড়া দামও হাতের নাগালের মধ্যে। আর তাই সবশ্রেণীর কাছে মানসম্পন্ন খাবারের জন্য ২০১১ সালের মার্চে চালু হওয়া ওয়েল পার্ক হয়ে উঠেছে আস্থার প্রতীক। এলাকার তরুণরাও এখানে নিরিবিলি পরিবেশে আড্ডা দেয়া এবং পছন্দসই খাবার অর্ডার দিতে পারছে।
ওয়েল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার এসএম শাহাব উদ্দিন জানান, রুফ টপ বারবিকিউতে মাসব্যাপী খাবার উৎসবে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। মূলত: স্বাস্থ্যসম্মত ও মজাদার খাবারের স্বাদ দিতেই আমাদের এই আয়োজন। তিনি বলেন, ছাদে ছাতার নিচে বসে ঝুপঝাপ বৃষ্টি পড়ার শব্দ আর সেই সাথে আড্ডার পাশাপাশি চাহিদামতো খাবার সরবরাহে নিয়োজিত থাকবে শেফ্রা। গ্রাহকদের জন্য মাছ-মাংসসহ যেসব খাবার সরবরাহ করা হয়, সবকিছুই তরতাজা। এছাড়া পরিস্কার-পরি”ছন্নতার বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই।
ওয়েল পার্কে সবার আমন্ত্রণ।