একটা সময় ছিলো তখন ফ্যাশনে খুব একটা চাকচিক্য ছিলনা। সাধারনভাবে একটু আলাদা আলাদা রঙের পোশাক বা প্রসাধনী দিয়ে নতুন ভাবে সাজুগুজু করতেই ভালোবাসত সবাই।
বিশেষ বর্তমান সময়ে ফ্যাশন ধারণায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। অবশ্য এ ফ্যাশনের ধারণায় ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নয়; বরং যা পরতে ভালো লাগছে, যা দেখতে ভালো লাগছে তাই পরছে সবাই। তাই লাল শাড়ির সঙ্গে লাল টিপই পরতে হবে বা সোনালি ও রুপালি দুটি রঙ একসঙ্গে পরা যাবে না, এমন কথা এখন আর চলছে না। তবু এর মধ্যেও অনেকেই চান পোশাক ও সাজে রঙের একটা সামঞ্জস্য রাখতে। তাদের জন্যই কিছু পরামর্শ-
বর্তমান সময়ের অনেকেই ব্যাগ ও জুতার রঙ মেলানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। বিশেষ করে পোশাকের রঙের সাথে একই রঙের ব্যাগ হবে কি না, আবার জুতাটাও ব্যাগের রঙের সাথে নাকি পোশাকের রঙের সাথে মিলবে- এসব নিয়ে।
আপনার জুতা ও ব্যাগের রঙ্গের মিল থাকতে হবে। জুতা যে রঙের ব্যাগও সেই একই রঙের ব্যবহার করাটা বেশ বৈচিত্রের মধ্যে পড়বে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাগের বা জুতার কিছু রঙের বিপরীতে কিছু রঙ থাকলে আরও আলাদা বৈচিত্র আনবে। যেমন ফিরোজা, পেস্ট, হালকা বেগুনি, হলুদ, কমলা এগুলোর সঙ্গে অফহোয়াইট রঙের ব্যাগ ও জুতা; আবার আকাশি, হালকা গোলাপি, গাঢ় নীল এসব রঙের সঙ্গে সাদা ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার করাই ভালো হবে। এছাড়া সাদা-কালো কোনো পোশাকের সঙ্গে লাল রঙের ব্যাগ ও জুতা রাখাই ভালো হবে। কেননা লাল রঙটি সাদা বা কালো উভয়ের সাথে সুন্দর মিলে যাবে। কিš‘ কখনোই লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে লাল ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার ভালো হবে না। লাল রঙের পোশাকে যদি সোনালির ছটা থাকে, সোনালি রঙের ব্যাগ ও জুতা অথবা লাল পোশাকের সঙ্গে কালো ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার করতে পারেন।