বৃষ্টি হলেই সবার আগে যে খাবারের কথা মনে আসে তা হচ্ছে খিচুড়ি। খাবারটি সত্যি দারুণ মজার এবং পুষ্টিকর।
উপকরণ:
বাসমতি চাল-আধা কেজি, আলু ১টি, গাজর- ২টি, পুঁই শাক (রুচি অনুযায়ী), নিজের পছন্দমত আরও কিছু সবজি, ছোট চিংড়ি-১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা-পরিবেশনের জন্য, পেঁয়াজ বাটা-২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা-১ চা চামচ, আদা বাটা-১ চা চামচ, জিরা বাটা-১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ- আস্ত ৭/৮টি, হলুদ-খুব সামান্য, দারুচিনি-মাঝারি আকারের ২/৩টি, এলাচ-৪/৫টি, ঘি-২ টেবিল চামচ, সয়বিন তেল-আধা কাপ, লবণ-পরিমাণমত।
প্রস্তুত প্রণালী:
সবজিগুলো কিউব করে কেটে নিন, পুঁইশাকের পাতা ও ডাল সামান্য কেটে নিন। চাল ধুয়ে ভাল করে পানি ঝরিয়ে ফেলুন।
পাত্রে সামান্য সয়াবিন তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। তারপর একই পাত্রে পুঁইশাক, সবজি, চিংড়ি এবং কাঁচা মরিচ সামান্য হলুদ ও সামান্য লবণ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। একটি পাত্রে পানি গরম হতে দিন। রান্নার জন্য যতটুকু পানি প্রয়োজন হবে ততটুকু পানি গরম দিতে হবে।
এবার আরেকটি পাত্রে সয়াবিন তেল গরম করে তাতে এলাচ, দারুচিনি, বাটা মশলা ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে সামান্য ভেজে নিয়ে তাতে ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। মাঝারি আঁচে ৫ থেকে ৭ মিনিট চাল ভাজতে হবে। দরকার হলে আঁচ কমিয়ে নিন। এরপর চালের সাথে আগে ভেজে রাখা সবজি-চিংড়ি দিয়ে আরও এক মিনিট ভালো করে নাড়ুন।
এবারে এতে পরিমাণমত গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন। স্বাভাবিক ভাত রান্নার মত করেই রান্না করতে হবে। চুলা থেকে নামানোর ১০ মিনিট আগে পাত্রে ঘি ছড়িয়ে দিন।
পরিবেশনে সময় পেঁয়াজ বেরেস্তাসহ অন্য যে কোন উপকরণ দিয়ে পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
চিংড়ির পরিবর্তে মুরগীর মাংসও ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে হার ছাড়া ১৫০ গ্রাম মুরগীর মাংস সবদিকে আধা ইঞ্চি মাপে কিউব করে কেটে নিতে হবে। মুরগীর মাংস শুধু সামান্য লবণ দিয়ে একেবারে লাল করে ভেজে তারপর তাতে সবজি মিশিয়ে একই পদ্ধতিতে রান্না করতে হবে।