বাবা, দু’টি বর্ণের একটি ছোট্ট শব্দ। ছোট্টকালে আমার ছোট আঙ্গুল ধরে তিনি হাঁটতে শিখিয়েছিলেন হাটি হাটি পা পা করে...।
জন্মের আড়াই বছর পর মাকে হারোনোর পর তিনিই কখনো মা...কখনো বা বাবা, আবার কখনো বন্ধু হয়ে পাশে থেকেছেন সবসময়।
এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন বুকে আগলে রেখে। তাঁর কাছে থাকিনা সেই অনেক বছর ধরে। যখনই একা থাকি কিংবা সহপাঠীদের কারও সঙ্গে মাকে দেখি, তখনই কাছে পেতে ই”েছ করে আমার মমতাময়ী মা, বাবাকে!
প্রতিদিন দু-তিনবার মুঠোফোনে কথা না হলে ¯ি’র থাকতে পারেন না। এসময় আমি একটু আস্তে কথা বললেই....আঞ্চলিক ভাষায় বলেন ‘তোর কি অসুখ অইছে?’ আমি শত বলেও তাকে বুঝাতে পারিনা যে, আমি ভালো।
আমার কৃষক বাবা বলেন, ‘কিরম (কেমন) ভালা আছস্ তা বুঝতাছি। ইবার (এবছর) ধান ভালাই অইছে, আম নাই গাছে, কাডল (কাঁঠাল) অইছে বেশি; তুই বাড়িত আইতে না?”
আমি বলি, ঈদে আইয়্যাম (আসব)। হরীক্ষা (পরীক্ষা) চলতাছে তো। ’ মোবাইলের ওপাশ থেকে কানে ভাসে ‘ভালা কইরা হরীক্ষা দিও বাজান। ’
সামনেই বাবা দিবস। ‘বাবা দিবস’ কি? জানে না আমার লেখাপড়া না জানা বাবা! আমার সেই গর্বের মানুষটিকেই কখনো বলা হয় ওঠেনি ‘ভালোবাসি’। ‘বাবা, তোমায় অনেক ভালোবাসি’। বাবা দিবসে পৃথিবীর সব বাবাদের শুভেচ্ছা।