কথায় আছে বোবার কোনো শক্র নেই, তাই বলে কি মানুষ কথা বলবে না? অবশ্যই বলবে। তবে, অপ্রয়োজনী কথা একটু কম বললে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
প্রিয়া সব সময় একটু বেশি কথা বলে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে সে। এই অনেক কথার ভেতরে কিছু কিছু কথার জন্য তাকে বিপদে পড়তে হয় প্রায়ই। যে কথাটি বললে সংসারে জটিলতা দেখা দিতে পারে কথায় কথায় হুট করে সে কথাটিও বলে ফেলে। আবার অনেক সময় অনেক গোপন কথা ফাঁস করে দেয় সবার সামনে। ফলে প্রিয়া যখন কথা শুরু করে তখন আতঙ্কে থাকে সবাই।
মিসেস তাহমিনার আবার অন্য সমস্যা। সে যখন কথা বলে তখন একনাগারে কেবল বলেই যায়, কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয় না। কাউকে কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আবার কথা বলতে শুরু করেন। ফলে তাহমিনাকে অনেকটা এড়িয়ে বাঁচতে চায় তার পরিচিতজনরা।
বাড়তি কথা বলে শুধু শুধূ কারো আতঙ্কের বা বিরক্তির কারণ হওয়া কি দরকার? তার চেয়ে বরং কথা হোক শ্রুতিমুধর এবং আনন্দদায়ক। তাই জেনে নিন কিছু টিপস-
- উচ্চ শব্দে এবং দ্রুতগতিতে কথা না বলে কথা বলুন ধীরে এবং পরিস্কার করে
- কথা বলার সময় প্রতিটি শব্দের উচ্চারণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি, ভুল উচ্চারণ হাসির উদ্রেক হতে পারে।
- কথা বলার সময় খেয়াল রাখবেন যার সঙ্গে কথা বলছেন সে কতটা মনোযোগ দিয়ে শুনছে
- একাই কথা বলবেন না, অন্যকেও কথা বলার সুযোগ দিন
- কথা বলার সময় বয়স এবং সম্পর্ক বুঝে সম্বোধন করুন
- কারো ব্যবস্তা থাকলে অল্প কথায় প্রয়োজনীয় কথাটি সেরে ফেলুন
- কারো সাথে কথা বলার সময় অন্যের সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন
- আপনার পাশেরজন কথা বলার সময় মাঝখান থেকে তাকে থামিয়ে দেবেন না। তার কথা শেষ করতে দিন। পরে আপনি বলুন
- কেউ আপনার সঙ্গে কথা বললে অমোনযোগী হবেন না, তাতে যে আপনার সঙ্গে কথা বলছে সে অপমানিত বোধ করতে পারে
- কথার বলার সময় শারীরিক অঙ্গভঙ্গি থেকে বিরত থাকুন
- আঙ্গুল নেড়ে গুরুজনদের সঙ্গে কথা বলবেন না
- যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করুন।