মিডিয়া জগতে প্রতিশ্রুতিশীল মডেল, তারকা, আভিনেত্রীদেও মধ্যে মেহেজাবিন অন্যতম। ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার হওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
ঈদ প্রস্তুতিতে প্রথমেই আসে কেনাকাটার ব্যাপারটি। এ প্রসঙ্গে মেহেজাবিন বলেন, একটা কামিজ, একটা শাড়ি আর একটা ওয়েস্টার্ণ পোশাকে হবে আমার ঈদ। আমার বন্ধু সৌমিন আফরিন বরাবরের মতো এবারের ঈদের আমার পোশাকগুলো ডিজাইন করেছে। ঈদের সকালটা বাসাতেই থাকতে হয় মেহমানরা আসলে তাদের আপ্যায়নের দায়িত্বটা থাকে আমার ওপর। এরপর সময় পেলে হয়তো একটু ঘুমাই। আর বিকেলের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হই। ঈদের কয়েকদিন পর সময় পেলে সব বন্ধুরা মিলে ঢাকার বাইরে কোথাও বেড়াতে যাই ঐ সময়গুলো বেশ উপভোগ করি।
ঈদের দিন পরনে কি থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেজাবিন বলেন, বন্ধুরা সবাই মিলেই মুলত সিদ্ধান্ত নেই যে কি পরবো সেটা স্যালোয়ার কামিজও হতে পারে আবার ওয়েস্টার্নও হতে পারে। তবে পারিবারিক কোনও পার্টি বা ঈদেও দিনের বিশেষ পার্টি হলে অবশ্যই শাড়ি পরি। রঙের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এবারের ঈদ যেহেতু বর্ষায় তাই নীল বা নীলের কোনও শেডে হবে আমার শাড়ি।
ঈদের এতো আয়োজনের মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার নিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে কিছু না রাঁধলেও মায়ের হাতের ক্ষীরটা ভালো লাগে।
ঈদে আমাদের প্রিয়জনদের মধ্যে উপহার আদান প্রদানের একটা পুরনো ঐতিহ্য রয়েছে।
উপহার পেতে কেমন লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে সদাহাস্যজ্জ্বল মেহেজাবিন বলেন, সত্যি বলতে কি শুধু ঈদ নয় যে কোরও সময় উপহার পেতে খুব ভালো লাগে। আর ঈদে সাধারনত আমার বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকি।
ঈদের আরেকটি মজার বিষয় হলো সালামি। সালামি প্রসঙ্গে বেশ উচ্ছাসিত হয়ে মেহেজাবিন বলেন, ঈদে সালামি নিতে বেশ ভালো লাগে, মুলত সকালে নামাজ শেষে শুরু হয় সালামি আদায় পর্ব। তবে এখন সালামি দিতেও হয় সেক্ষেত্রে আমি আব্বু আম্মুর কাছে যা নেই সেটা আবার তাদের দিয়ে দেই।
মেহেজাবিনের জন্য বাংলানিউজের সব পাঠকের পক্ষ থেকে রইলো ঈদের শুভেচ্ছা।
ছবি: নূর