মম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করে বাপ্পির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল এইতো বছর দুই আগে। আর মাত্র কয়েকদিন আগে তাদের কোল জুড়ে এসেছে ছোট্ট রাজকন্যা ওহী।
শিশুর বয়স যখন গর্ভে আট মাস পূর্ণ হয়ে যায় তারপর যেকোনো দিন সন্তান প্রসব হতে পারে। তাড়াহুড়ো করে হাসপাতালে গেলে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ভুলে বাসায় ফেলে যেতে পারি। কিন্তু আগে থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি লিস্ট যদি থাকে এবং দুজন মিলে জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখলে প্রয়োজনের সময় অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা:
শিশুর জন্য
কাপড়(নতুন কাপড় কিনে বাড়িতে সাবান ও জীবাণু নাশক দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে আয়রন করে রাখুন)
তোয়ালে, পোশাক, বালিশ, কাঁথা, ছোট বিছানা, মশারি, ছোট বাথটাব, ওয়েট টিস্যু, ডায়াপার, সাবান, শ্যাম্পু, লোশন।
মায়ের জন্য
বাড়তি জামা কাপড়, এক জোড়া স্লিপার জুতো, টয়লেট্রিজ (যেমন: সাবান, শ্যাম্পু, ফেস ওয়াস, জীবাণুনাশক ওয়াইপস, ফেস টিস্যু,লিপজেল, তোয়ালে, ক্রিম, লোশন, চুলের তেল, হ্যান্ডওয়াস), ফোনের চার্জার, কোন বই বা ম্যাগাজিন, প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর সমুহ, চাদর, কাঁথা, ফ্ল্যাক্স, ১টি বা ২টি করে গ্লাস এবং প্লেট, চামচ।
যারা হাসপাতালে সঙ্গে থাকবেন তাদেরও প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে নিতে হবে।
অনেক সময় মায়ের রক্তের প্রয়োজন হয়, আগে থেকে মায়ের রক্তের গ্রুপ জেনে দুইজন পরিচিত ডোনার রাখুন। যেন কোনো কারণে একজন দিতে না পারলেও কোনো সমস্যা হবে না।
গাড়ির ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেন যত রাতই হোক হাসপাতালে যেতে দেরি না হয়।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আজকাল স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে এমনটা খুব বেশি দেখা যায় না। এজন্য সিজার হতে পারে এই প্রস্তুতি রেখে সামর্থ অনুযায়ী টাকার জোগাড় রাখতে হবে।
নতুন এই পৃথিবীতে ছোট্ট সোনামণিকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আর ফুরুফুরে মনে গর্ভকালীন শেষ সময়টুকু নিজের ভেতর প্রিয় সন্তানের অস্তিত্ব অনুভব করুন।