ঈদ মানেই আনন্দ। এটা তো কমন কথা।
এবার কিছু তরুণের ঈদ হয়েছে একটু অন্য রকম। আর ঈদ পালনের প্রস্তুতি চলে আরও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই।
আপনারা জানেন, বাংলানিউজ স্যোশাল সার্ভিস (বিএনএসএস) এর মাধ্যমে দরিদ্র ও দুঃস্থদের সাহায্য করা হয়। আমাদের প্রকাশিত বিভিন্ন মানবিক সংবাদে সাড়া দিয়ে পাঠক বন্ধুরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বহুবার।
বাংলানিউজের এমনই এক মহৎ হৃদয়ের বন্ধু কানাডা প্রবাসী জহিরুল ইসলাম। তার কথা এজন্যই বলছি তিনি নিজের চেয়েও মনে হয় ফেলে যাওয়া দেশটির দরিদ্রদের নিয়ে বেশি ভাবেন। সেদিন ফেসবুকে কথা হচ্ছিল, ঈদে কী করা যায়…দুই একটি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ দিলাম যেখানে অসহায় শিশুরা রয়েছে। যাদের কাছে ঈদের দিনটি বিশেষ করার মতো কোনো আয়োজনই নেই। তিনি তার ছোটভাই রায়হান সুমোর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন, বেশকিছু অসহায়দের ঈদে পোশাক এবং খাবারের জন্য।
সুমো হোপ বাংলাদেশের বন্ধু অপু, শাওন রাজিব, রুবেলসহ আরও কয়েকজন মিলে ঈদের দিন প্রথমে মিরপুরের একটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের স্কুলে দরিদ্র ছাত্রীদের মধ্যে নতুন কাপড় এবং খাবার বিতরণ করে। এসময় পুতুল, জ্যোতি, মনিকাদের অন্ধ-চোখে আনন্দের ঝিলিক।
এবার সুমোদের গন্তব্য অপরাজেয় বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্র যাত্রাবাড়িতে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় যাত্রাবাড়ি পৌঁছতে খুব বেশি সময় নেয়নি। সেখানে নতুন পোশাক পেলো হতভাগ্য আরও ৪৫ জন কিশোর-কিশোরী। ঈদে নতুন জামা তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। তাদের আনন্দ দেখে সত্যি মনে হবে নিজের জন্য দশটি ভালো কাপড় কিনেও কখনো এতো তৃপ্তি কেউ পেয়েছে বলে মনে হয় না।
সেখানে খোকন, রাসেল, রাজিব, রুমা, সাথী সবার ঈদের আনন্দ যেন অপেক্ষায় ছিলো নতুন পোশাকের। খুব আগ্রহ আর আনন্দ নিয়ে তারা নতুন কাপড় পরে এলো। এরপর সবাই একসঙ্গে বসে দুপুরের খাবার।
ওদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল…ফেরার সময় সুমো আর তার বন্ধুদের কাছে জানতে চাইলাম, কেমন কাটলো এবারের ঈদ? সবাই একসঙ্গে উত্তরে জানালো জীবনের সেরা ঈদ এটা…