সম্প্রতি দীর্ঘ ১৬ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা সকালে খাবার ঠিকভাবে না খেয়েই দিন শুরু করেন, তাদের হার্ট এটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। এছাড়াও যারা ধূমপান ও অন্য মাদকে আশক্ত এবং কম শারীরিক পরিশ্রম করেন, অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস রয়েছে, তারাও হৃদরোগের দিকেই ঝুঁকছেন।
সময় থাকতে আমরা যদি শরীর সম্পর্কে সতর্ক না হই, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ভীতিকর হার্ট এটাকই বাস্তবতা হতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ছোট ছোট কয়েকটি সহজ সতর্কতাই আমাদের সুস্থ থাকতে এবং হার্ট এটাক প্রতিরোধ করতে পারে:
সকালের নাস্তা
দিনের শুরুর খাবারটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে চাইলে কখনোই সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না। একটি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করলে আমাদের সারা দিনের কাজ করতেও এনার্জি পাবো। আর বাইরের জাঙ্ক ফুডের প্রতিও আমাদের আগ্রহ কম থাকবে এবং বাড়তি খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
সারাদিনের ব্যস্ততার পর পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় আমাদের হৃদস্পন্দন কমে যায় এবং হৃদয় পেশী কিছুটা বিরতি পায়। এজন্যই ভালো ঘুমের পর আমরা অনেক সতেজ আর কমর্ক্ষম অনুভব করি। যার ফলে রাতের ঘুম নিশ্চিত করুন, ক্লান্তি দূর করে ঝরঝরে থাকুন।
ব্যস্ত থাকুন
সঠিক দৈহিক কার্যকলাপ আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। ব্যস্ত থাকলে আমাদের শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। ফলে শরীরের গড়নও থাকে কাঙ্ক্ষিত শেপে।
বন্ধু বা জীবন সঙ্গীকে নিয়ে দিনে শুধুমাত্র ৩০ মিনিট হাঁটুন। দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেক হালকা এবং সুস্থ বোধ করছেন।
ডায়েট
সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের হৃদয় সুস্থ রাখার চাবিকাঠি। খাদ্য আমাদের শরীরের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। সুস্থ থাকতে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ফল ও সবজি রাখুন। আর তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
সঠিক ওজন
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন সঠিক মাত্রায় থাকতে হবে। আমরা অনেকেই এখন জিরো ফিগারের পেছনে ছুটছি, তবে অতিরিক্ত বেশি ওজন যেমন আমাদের সুস্থতার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতি কম ওজনের ঝুঁকিও কিন্তু কম নয়।
সঠিক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, মিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক ভাবেই সুস্থ থাকতে পারি। আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি হার্ট এটাকের বিরুদ্ধে।