যাদের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে প্রায়ই আয়নার সামনে বিব্রত হতে হয়। আর ফিরে পেতে ইচ্ছে করে সেই আগের নিজের স্লিম ফিট ফিগার তাদেরই একজন আমাদের সবার প্রিয় সহকর্মী এসএম সালাউদ্দিন ভাইয়া।
সবাই বিষয়গুলো জানি তারপরও চোখের সামনে থাকলে সুবিধা হবে -
অতিরিক্ত মেদ বিশেষ করে পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, তাই ডায়েবেটিক থেকে শুরু করে হার্টের মারাত্মক সমস্যার কারণ এই বাড়তি মেদ। এছাড়া ভুড়িসহ একজন মানুষ দেখতে ভালোও লাগে না। শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়না। খাবার দাবারেও সতর্ক হতে হবে।
যা করতে হবে আমাদের:
- প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে খাবেন।
- শরবতটি খাওয়ার পর দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভাল ফল পাবেন। তাহলে আপনার শরীরে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ গতিতে হবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
- সকালের নাশতায় অন্য খাবারের কম খেয়ে একবাটি করে ফল খেলে পেটের চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
- পানি শরীরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্ষতিকর সব কিছু শরীর থেকে বের করে দেয়। সেজন্য সকল ডাক্তারদের পরামর্শ বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
- ভাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে লাল আটার তৈরি খাবার বেশি খেলে অনেক উপকার পাবেন
- খাবার রান্না করার সময় দারচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করুন। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
- চিনি জাতীয় খাবার শরীরে বিশেষ করে পেট ও উরুতে চর্বি জমতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুতরাং চর্বি থেকে বাঁচতে হলে এজাতীয় খাবারের লোভ সংবরণ করতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি খেতে হবে। তিল, কালিজিরা, দুধ ও মাছ খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
- দেশি ফল-আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, চালতা, পেপে, বেলসহ সকল মৌসুমি ফল বেশি খেতে হবে।
- চর্বি জাতীয় খাবার- গরুর মাংস,ফাস্ট ফুড এবং সফট ড্রিংকস (কোকাকোলা, পেপসি ইত্যাদি) খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। একদমই না খেলে আরও ভাল হয়।
- ঘুমের কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার (হাল্কা) খেতে হবে এবং ১০/১৫ মিনিট হাঁটার পর ঘুমাতে হবে।
সতর্কতাগুলো অভ্যাসে পরিণত হলে শরীর আজীবন ভালো থাকবে আশা করা যায়...