প্রতিটি সম্পর্কই আমাদের কাছে অনেক প্রিয়, অনেক সম্মানের আর বিশ্বাসের। ধীরে ধীরে আমাদের পরিবারগুলো ছোট থেকে শুধুই দুজনের, মানে ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছে।
মিলিয়ে দেখুন কিছু লক্ষণ যখন হয়তো আপনাকে মুখোমুখি হতে হবে কোনো অপ্রিয় সত্যের:
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে যতটা সহজ করছে, তেমনি অনেক কিছুকে করে দিচ্ছে সহজলভ্য। এর একটি হচ্ছে ফোন। লক্ষ করুন আপনার সঙ্গী কি প্রায়ই কোনো ফোনে ব্যস্ত থাকছেন কি না? বিশেষ করে আপনি যখন বাড়ির বাইরে থাকেন বেশির ভাগ সময় বাইরের কোনো কাজ না করলেও তার ফোন ব্যস্ত থাকে। আর আপনি যখন বাড়িতে থাকেন বিশেষ ফোনটি এলে তিনি অন্য ঘরে চলে যাচ্ছেন। আপনার ঘুমের সময় সে হয়তো নিচু গলায় কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছে।
সব সময় আপনিই সঙ্গীকে ফোন দিচ্ছেন বা টেক্সট মেসেজ পাঠাচ্ছেন কিন্তু তার দিক থেকে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তাহলে বুঝতে হবে যে এটি একটি খারাপ লক্ষণ।
তিনি খুব সাধারণ বিষয়ে ঝগড়া শুরু করেন আর তা নিয়মিত।
এক জায়গার কথা বলে অন্য যায়গায় চলে যাচ্ছে। অথবা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় সে কোথায় আছে আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে পারছে না। এমনও হতে পারে এবিষয়গুলো নিয়ে আপনি জানতে চাইলে, সে মিথ্যা বলছে। আর এটা ধরা পরে গেছে দেখে সে উল্টো রেগে যাচ্ছে। যদি এটা প্রায়ই হয় তবে, তা হবে আপনার জন্য উদ্বেগের কারণ।
আপনার সঙ্গী হঠাৎ তার চেহারা আর সাজগোজ সমন্ধে আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। নতুন জামাকাপড়, ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ, বিশেষ করে আপনাকে ছাড়া যখন একা বাইরে যাচ্ছেন তখন নিজেকে নিয়ে একটু বেশিই খুঁতখুতে তিনি।
এগুলো খুবই সাধারণ লক্ষণ একটি অন্য সম্পর্কে জড়ানোর। আমাদের ক্ষেত্রে এবিষয়গুলো যদি মিলে যায়। প্রথমেই খারাপ কিছু না ভেবে দুজন আলোচনা করে সত্যটা জানার চেষ্টা করুন। যদি সত্যিই এমন কিছু হয়ে থাকে এবং সে তার ভুল বুঝে আপনার কাছেই ফিরে আসতে চায় তবে তাকে সুযোগ দিন।
এই সম্পর্কগুলো নিশ্চয় খুব স্পর্শকাতর তাই এ ধরনের সন্দেহ দেখা দিলে প্রথমেই কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে আলোচনা করে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর নিজেদের কথা বাইরের কারও সাথে আলোচনা করাও ঠিক নয়।
তবে এ সুযোগ যেন বার বার না দেওয়া হয়…আমাদের বিশ্বাস নিয়ে বার বার খেলার সুযোগ দেওয়ার কোনো কারণ নেই…
Like this page for more info: https://www.facebook.com/bnlifestyle