আমরা পুরো বছর অপেক্ষা করি ঈদের দিনের। সেই কাঙ্ক্ষিত ঈদ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে।
ফারনাজ বলেন, ঈদের রাতে বাইরে যাওয়ার জন্য বিশেষ পোশাকটি আগেই তৈরি রাখুন। আর সেই সঙ্গে সাজ-সরঞ্জামও গুছিয়ে নিন।
রান্না করা, অতিথি আপ্যায়ন করে সারাদিন কেটে যায়। সন্ধ্যাটা ফ্রি রাখুন প্রিয়জনের সঙ্গে বাইরে যাওয়া, দাওয়াত রক্ষার জন্য।
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে চা বা কফি খেয়ে বেশ কিছুটা সময় হাতে রেখে সাজের প্রস্তুতি নিন।
প্রথমেই দুধ, মধু ও ময়দার মিশ্রণ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন।
ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন মুখে ও গলায় লাগিয়ে একটা ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন দেয়ার পরও মুখে যদি ভাঁজ বা দাগ থাকে তাহলে কনসিলার ব্যবহার করুন। এবার কমপ্যাক্ট পাউডার দিন।
চোখ: ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় চোখের ওপর ও নিচে ভালো করে মিলিয়ে দিন। চোখের তলায় কালি থাকলে কনসিলার দিয়ে নিন। আর যদি ফেস পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে ব্রাশ দিয়ে পাউডার ভালো ভাবে ঝেড়ে নিন। এরপর চোখের ওপর সারা পাতাজুড়ে বেস আইশ্যাডো লাগান। পোশাকের সাথে মিলিয়ে বা দুই বা তিনটি শেড মিলিয়ে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। ভ্রূ'র ঠিক নিচে হাইলাইটার লাগান। কাজল শুধু চোখের ভেতর লাগান, ওপরে ও নিচে আইলাইনার লাগান। যারা আইলাইনার ব্যবহার করতে চান না, তারা একটু গাঢ় করে কাজল লাগাতে পারেন।
স্মোকি লুকের জন্য হালকা গাঢ় বাদামি বা কালো আইলাইনার ব্যবহার করুন। সঙ্গে সোনালি বা ব্রঞ্জ ও কপার আইশ্যাডো দিন। আইল্যাশের কাছে সাদা পার্ল শিমার লাগান।
সবশেষে ২-৩ কোটে মাশকারা লাগান।
নাক : নাক একটু ছোট ও মোটা হলে দু’পাশে ডার্ক শেডের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। এতে করে নাক শার্প দেখাবে। নাকের ওপরের অংশে লাইট শেডের ফাউন্ডেশন এবং কম্প্যাক্ট লাগিয়ে নিন।
ব্লাসন: গোলাপী, বাদামী শেডের ব্লাসন ব্রাশে নিয়ে নিন। একটু হেসে নিয়ে আপনার গালের আপেল পয়েন্ট সিলেক্ট করুন এবং চিক বোন এ ব্লাসন লাগান।
ঠোঁট: লিপস্টিক লাগানোর সময় প্রথমে ঠোঁটে একটু পাউডার লাগিয়ে নিলে ভালো হয়। তারপর লিপ পেন্সিল দিয়ে হালকা করে আউট লাইন এঁকে নিন। তারপর ঠোঁটের মাঝখানে লিপ ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে পারেন অথবা সরাসরি লিপস্টিক দিয়েও ভরে দিতে পারেন। রাতের সাজে একটু গাঢ় রঙ-এর লিপিস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আজকাল লিপগ্লাসের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। লিপস্টিকের পরিবর্তে গাঢ় রঙের লিপগ্লসও লাগাতে পারেন।
চুলের সাজে: চুলের সাজের সময় আপনার মুখের গড়নের কথাও মাথায় রাখুন। যাদের মুখ গোল, তারা কপালের দিকটা কম ফোলান। লম্বাটে চেহারা যাদের, তারা পেছনের দিকটা ফুলিয়ে নিতে পারেন। চাপা মুখের যারা, তারা দুই পাশেই হালকা করে চুল ফুলিয়ে চুল সেট করে নিন।
তবে চেহারার আকৃতি যেমনই হোক, চুল একপাশ থেকে ছেড়ে দিলে আপনাকে সুন্দর দেখাবে। পনিটেলও করতে পারেন। অনেকে কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন। তারা চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে দিতে পারেন।
গহনা: পোশাক এবং সাজের সঙ্গে মিলিয়ে কানে গলায় ও হাতে পছন্দ মতো সোনা, রূপা, মুক্তা বা হীরার গহনা পরুন।
সুগন্ধি: পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করে আপনার বিশেষ দিনের সাজ পূর্ণ করুন।
বন্ধুরা যে যত্ন নিয়ে সাজলেন, ঠিক একই ভাবে বাড়ি ফিরে অবশ্যই মেকআপ ভালোভাবে তুলতে হবে। এজন্য তুলায় অলিভ ওয়েল নিয়ে আলাদা করে চোখ, ঠোঁট ও মুখের মেকআপ তুলে নিয়ে ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সবার ঈদ আনন্দে কাটুক, সবার জন্য শুভেচ্ছা।