ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আসছে পুজোয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
আসছে পুজোয়

পুজোতে আমরা ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলো তৈরি করতে পছন্দ করি। যারা নতুন রাঁধুনী তাদের জন্য বেশ কিছু মিষ্টি খাবার তৈরির রেসিপি:

সন্দেশ
উপকরণ: ছানার জন্য ফুলক্রিম দুধ-দেড় লিটার, খোয়া ক্ষীর-আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, লেবুর রস ৪ টেবিল চামচ।



এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, পেস্তা বাদাম ৮/১০ টা, জাফরান পরিমাণমতো।

ছানা তৈরি:
দুধ জ্বাল করে একটা বলক তুলে নিন। এখন চুলা বন্ধ করে লেবুর রস মেলানো পানি ঢেলে দিন। ছানা ঠাণ্ডা হলে কাপড়ে ছেঁকে ৪ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখুন।

প্রণালী:
এক কাপ গরম পানিতে পেস্তা বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে পাঁচ মিনিট। পানি থেকে তুলে খোসা ফেলে ছোট ছোট করে চপ করে নিতে হবে। এবার ভালো করে ছানা, ময়দা খুব মেখে, খোয়া ক্ষীর, চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে প্যানে ৫-৬ মিনিট জ্বাল করে নিতে হবে অল্প আঁচে। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। চুলা বন্ধ করে নেড়ে নেড়ে মিলিয়ে নিন।

কিছুটা ঠাণ্ডা হলে সন্দেশের আকার দিয়ে বাদাম ও জাফরান দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ফিরনি
উপকরণ: দুধ-৪ লিটার, পোলাওয়ের চাল-১০০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক এক কৌটা, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, কিশমিশ ও পেস্তা বাদাম।

প্রস্তুত প্রণালী: পোলাওয়ের চাল ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে আধা বাটা করে নিন। পাত্রে দুধ দিয়ে জ্বালিয়ে একটু ঘন হয়ে এলে চাল দিন। চাল সেদ্ধ হলে চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, দারচিনি, এলাচ দিন। কিছুক্ষণ পর কিশমিশ ও পেস্তা বাদামের কুচি দিন। ফিরনি তৈরি হয়ে গেলে ছোট ছোট পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে পেস্তা বাদামের কুচি দিয়ে সাজিয়ে নিন।

ঠাণ্ডা করে ফিরনি পরিবেশন করুন।

আসুন কয়েকটি লাড্ডু তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দেই।  

বেসনের লাড্ডু

লাড্ডু তৈরির উপকরণ:
বেসন-১ কাপ, পানি ১/২ কাপ, ভাজার জন্য তেল, কাঠ বাদাম ১ চা চামচ, এলাচ গুঁড়া ১ চামচ।

সিরা তৈরিতে: চিনি দেড় কাপ, পানি ১ কাপ।

যেভাবে করবেন: প্রথমে পানিতে চিনি জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।

এবার একটি পাত্রে পানি ও বেসন দিয়ে খুব ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করুন। বড় হাতলসহ ঝাজরা চামচে মিশ্রণ নিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন। অল্প আচে বুন্দিয়াগুলো সোনালী রং করে ভেজে তুলুন।

সবশেষে চিনির সিরায় বুন্দিয়া, বাদাম কুচি এবং এলাচ গুঁড়া দিয়ে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন।

হাতে চিনির সিরা মেখে গোল গোল করে লাড্ডু তৈরি করুন।

মুগ ডালের লাড্ডু

উপকরণ: মুগ ডাল ১কাপ, চিনি ১ কাপ, ঘি ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, বাদাম।

যেভাবে করবেন: মুগ ডাল ভেজে গুঁড়া করে নিন।

পাত্রে ১ চামচ ঘি দিয়ে বাদাম ভেজে রাখুন। এবার পুরো ঘি দিয়ে সব উপকরণ দিয়ে আঠালো না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।

পছন্দের আকারে লাড্ডু তৈরি করুন।

গাজরের লাড্ডু
গাজর দেড় কেজি, চিনি আধা কেজি, ঘি আধা কেজি, এলাচ ও দারচিনি ১০-১২টি, মাওয়া আধা কাপ।

প্রথমে গাজর ভালোমতো ধুয়ে মিহি গ্রেট করুন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে গাজর, এলাচ, দারচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠা আঠা হলে নামিয়ে মাওয়া গ্রেট করে দিয়ে আলতোভাবে নেড়ে নেড়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

এবার গোল গোল করে গাজরের লাড্ডু তৈরি করে নিন।

তিলের লাড্ডু
তিলের লাড্ডু তৈরি করতে প্রয়োজন হবে:

তিল- ২৫০ গ্রাম, গুড়-২৫০ গ্রাম, ঘি- ১ কাপ।

প্রণালী: তিল টেলে (তেল ছাড়া ভাজা) নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।

এবার চুলায় একটি পাত্রে গুড় জ্বাল দিন। গুড় গলে গেলে তিল দিয়ে নাড়তে থাকুন। গুড়ের সঙ্গে তিল মিলে শক্ত হয়ে এলে নামিয়ে নিন। একটি পাত্রে তিলের মিশ্রণ ঢেলে গরম থাকতেই ঘি দিয়ে মিশিয়ে নিন।

পছন্দ মতো আকারে লাড্ডু তৈরি করুন।

আপনারা চাইলে সব ধরনের লাড্ডুতে পছন্দ মতো লবণ দিতে পারেন।

রসগোল্লা

উপকরণ:
দুধ- ২ লিটার, লেবুর রস-৪টেবিল চামচ, পানি-৬ কাপ, চিনি-৩ কাপ, গোলাপ জল সামান্য।

প্রণালী:
ছানা তৈরি: দুধ জ্বাল দিয়ে অল্প করে লেবুর রস দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন।
দুধ থেকে সবুজ পানি বের হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে চেপে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

এরপর ছানা হাত দিয়ে ভাল করে মাখাতে হবে মসৃণ হওয়া পর্যন্ত।
প্রেসার কুকারে ৬ কাপ পানিতে চিনি দিয়ে চুলায় দিন। সিরা তৈরি হলে এক চামচ দুধ দিয়ে ময়লা তুলে ফেলুন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন। ছানা ২০-২৫ ভাগ করে গোল করে রাখুন।
সব ছানার বল একসঙ্গে সিরায় দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে দিন।
মাত্র একটি সিটি বাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ব্যস এবার চুলা বন্ধ করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় পাত্রে ঢালুন। ১ চা চামচ গোলাপ জল দিন।
ঠাণ্ডা হলে স্পঞ্জ রসগোল্লা পরিবেশন করুন।

আরও অনেক বিষয়ে জানতে https://www.facebook.com/bnlifestyle

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।