গৃহস্থালির কাজ করার সময় কম বেশি সবারই টুকটাক ঝামেলা পোহাতে হয় । কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে এসব সমস্যা সমাধান করা যায় এক নিমিষেই।
বন্ধুরা এসব ছোট সমস্যার বাইরেও আমাদের সংসারের নানা কাজ থাকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কাজের প্রয়োজনে সারাদিন বাইরে থাকতে হয় আর বাসায় কাজের লোক থাকে না, সেদিন এমন এক কলেজ শিক্ষিকা বলছিলেন, “বাড়িতে ফিরতে ভয় লাগে।
মনে হয় কাজগুলো সব বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর এর মধ্যে কোনো অতিথি আসবে শুনলে যেন কান্না পায়”।
আসলেই যারা এমন অবস্থায় পড়েননি, তারা বুঝবেন না এমন পরিস্থিতিতে কেমন হয়। কিন্তু কাজ দেখে ভয় পেলে আরও কাজ জমে যাবে তখন এগুলো পরিষ্কার করতে বেশি কষ্ট হবে। আবার একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে অসুস্থও হয়ে যেতে পারি, তখন হয় আরেক বিপদ...
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে ধৈর্য নিয়ে, বুদ্ধি খাটিয়ে। প্রথমেই সাপ্তাহিক কাজের একটি তালিকা করতে হবে। যা হতে পারে এমন:
শনিবার : শনিবার বিছানার চাদর এবং পোশাক ধোয়া, সেই কাপড় শুকিয়ে ভাঁজ করা।
রবিবার: থালা-বাসন পরিষ্কার। জুতার তাক গোছানো।
সোমবার: ধুলা পরিষ্কার করে ঘর ঝাড়ু দিতে হবে। রেফ্রিজারেটরের ওপরে, টেলিভিশন, খাটসহ সব ফার্নিচার মুছতে হবে।
মঙ্গলবার : বাথরুম পরিষ্কার। ১ টি বাথরুম পরিষ্কারে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। বেসিন, সিংকও এদিন পরিষ্কার করতে হবে।
বুধবার : রান্নাঘর, যেগুলো কাজে না লাগে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। ফ্রিজের জমানো খাবার, মশলা সবজি সব ফেলতে হবে। রান্নাঘরের তাক, ফ্রিজ, মশলার পাত্র, হাড়ি-পাতিল, ফিল্টার, ওভেন পরিষ্কার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার : মেঝে ও ফ্যান পরিষ্কার। পেঁয়াজ কাটা, মশলা ব্লেন্ড করা।
শুক্রবার : বিশ্রাম
অফিসের কাজ সংসারের কাজ সবই করতে হবে। তবে সব কাজ একা করতে যাবেন না দুজন মিলে কাজগুলো ভাগ করে নিন। বিরক্তি নিয়ে কাজ না করে দুজন গল্প করতে করতে কাজগুলো গুছিয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘরও পরিষ্কার থাকবে। সঙ্গে মনও থাকবে ফুরফুরে...