চা গরম! এই শীতে উষ্ণতা পেতে এক কাপ গরম চায়ের তুলনা নেই। চা শুধুমাত্র অবসরের সঙ্গী বা আড্ডার কেন্দ্রবিন্দুই নয়।
ব্ল্যাক টি
বিশ্বের ৭৫ শতাংশ উৎপাদিত চা-ই ব্ল্যাক টি। এটি সামান্য তেতো স্বাদের হয়। এক কাপ ব্ল্যাক টিতে ৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। ব্ল্যাক টিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন তিন কাপ চা পান করেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি গড়ে ২১ ভাগ হ্রাস পায়।
গ্রিন টি
মনোরম ফ্লেভার সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতি কাপে ২৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন সরবরাহ করে এই চা। সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। এছাড়া এটি ওজন কমাতে গুরাত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করে।
হারবাল টি
প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি চা কে হারবাল টি বলে। যেমন পুদিনা পাতা, আদা, লেবু, ক্যামোমাইল চা। এসব হারবাল চা ঠাণ্ডা সারিয়ে তোলে, শরীরের জীবাণু নষ্ট করে, পেটে প্রদাহ কমায়। লেবু বা আদা পানিতে সেদ্ধ করে তাতে মধু মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা ও মাথাব্যাথায় উপকার পাওয়া যায়।
চা বানানোর সঠিক পদ্ধতি-
বেশিরভাগ মানুষই ফুটন্ত পানিতে চা পাতা দিয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত সেদ্ধ করেন । এতে চায়ের লিকার ও স্বাদ ভালো হলেও চায়ের ভেতর থেকে অতিরিক্ত ক্যাফেইন বের হয়ে আসে যা শরীরের জন্য ভালো নয়। এক্ষেত্রে ছাকনিতে চা পাতা ঢেলে তার ওপর গরম পানি ঢালুন। এতে প্রাথমিকভাবে যে রং বের হয়ে আসবে তা শরীরের জন্য উপিকারী। টি ব্যাগের ক্ষেত্রে কাপে টি ব্যাগ রেখে ওপর থেকে গরম পানি ঢালুন। রং বের হয়ে আসলে টি ব্যাগ তুলে ফেলুন।
গ্রিণ টি- গ্রিণ টি ব্যাগ কাপে রাখুন ওপর থেকে গরম পানি ঢালুন। মধু মেশান । ফ্লেবারের জন্য লেবু ব্যবহার করতে পারেন।
মসলা চা- লেবু ও আদা চায়ের মত মসলা চা বেশ জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে ফুটন্ত পানিতে দারচিনি, লবঙ্গ দেয়া হয়। মাথাব্যাথা ও গলাব্যাথায় এই চা আরাম দেয়।
চায়ের গুণকথা-
চা গুণ অনেক। এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস। এটি হাড় শক্ত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করেন না তাদের তুলনায় চা পানকারীদের ড় বেশি মজবুত থাকে। গ্রিন টি দাঁতের জন্য ভালো। এতে আছে ফ্লুরাইড ও ট্যানিন নামক উপাদান। এটি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
তো হয়ে যাক এক কাপ চা!