সন্তানের শারীরিক গঠন নিয়ে চিন্তা থাকে সব বাবা-মায়েরই। সন্তান কতটুকু লম্বা হবে? এই নিয়ে চিন্তাটা বুঝি সবচেয়ে বেশি।
এই হিসেবকে শেষ কথা বলে মেনে নিতে হবে এমনটা নয়, তবে কম-বেশি এমনটাই ঘটে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
তারা এ নিয়ে কাজ করছেন প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। আর তার ভিত্তিতেই এমন একটি ফর্মুলা বের করেছেন।
তাহলে দেখা যাক কি সেই সহজ ফর্মুলা।
ছেলেদের ক্ষেত্রে অংকটি হচ্ছে বাবা ও মায়ের উচ্চতা যোগ করে তার সঙ্গে আরও ৫ ইঞ্চি যোগ দিন। এবার তাকে দুই দিয়ে ভাগ করুন। বলা যেতে পারে আপনার ছেলেটি যখন তার পূর্ণ বয়ঃপ্রাপ্ত হবে তখন এই উচ্চতাই পাবে।
আর মেয়েদের ক্ষেত্রেও হিসেবটা অনেকটা একই রকম। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মোট উচ্চতা থেকে ৫ ইঞ্চি বিয়োগ করতে হবে। আর তাকে দুই দিয়ে ভাগ করতে হবে।
তবে গবেষকরা বলছেন, এটাই কিন্তু শেষ কথা নয়, আসলে পুষ্টি গ্রহণ, বসবাসের পরিবেশ এসবের কারণে উচ্চতায় ভিন্নতা আসতে পারে।
এবার আরেকটা সাধারণ ফর্মুলার কথা জানানো যাক। এই পদ্ধতিতে কোনও ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে তার দুই বছর বয়সের সময় মোট যে উচ্চতা হবে তার দ্বিগুন হবে তার বয়ঃপ্রাপ্তকালের উচ্চতা। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে এই মাপটি নিতে হবে ১৮ মাস বয়সের সময়।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটউট ফর মেডিক্যাল রিসার্চ এর অধ্যাপক ডেভিড র্যাভিন বলেন, শিশুদের বেড়ে ওঠা, বিশেষ করে লম্বা হওয়ার সঙ্গে তাদের পূর্বপূরুষের জিনের সম্পর্ক রয়েছে। আর বাবা-মায়ের উচ্চতার সঙ্গেই এর সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ সময় ০০০৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৬
এমএমকে