আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং সুন্দর ফিগারের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। আমরা জানি সু-স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার কোনো বিকল্প নেই।
সকালে অফিসের জন্য অনেকেই ব্যায়াম করার সুযোগ পাই না। অফিস থেকে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। বাড়ি ফিরে আবার কতো কাজ...ব্যায়াম করার সময় নেই। জানি এইতো বলবেন, কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে কিছুটা সময় বের করতেই হবে।
কীভাবে? জেনে নিন:
সকাল
অনেকে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই ব্যায়াম শুরু করেন। তবে এসময় ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ এক্সারসাইজের জন্য শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে এনার্জি থাকা প্রয়োজন
সময়ের অভাব থাকলে ঘুম থেকে ওঠার আধ ঘণ্টা পর হালকা জগিং বা মর্নিং ওয়ার্ক করুন
ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কয়েক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করুন
মনে রাখবেন কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না
বিকেল
ব্যায়াম করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে দুপুরের পর বিকেলে। মানে ঘুম থেকে ওঠার ৬ ঘণ্টা পর এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে
যাদের ভারী এক্সারসাইজের পরিকল্পনা রয়েছে তারা দিনের বেলার যেকোনো একটি সময় বেছে নিন
লাঞ্চ করার পর বসে না থেকে হালকা হাঁটুন।
সন্ধ্যা
বাড়ি ফেরার পথে কিছুটা পথ হেঁটেই অাসুন
হাঁটার সময় খেয়াল রাখবেন যেন ১০ মিনিটে ১ কিলোমিটার পথ যেতে পারেন
সন্ধ্যা বেলা এক্সারসাইজ করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সারসাইজ করার আগে রিল্যাক্স করুন। যাতে এক্সারসাইজ করার সময় ক্লান্ত ভাব না থাকে।
যোগব্যায়াম করার জন্য সন্ধ্যা সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
এসময় আপনি ট্রেডমিল বা সাইক্লিংও করতে পারেন
জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার করার ইচ্ছা, সময় এবং সামর্থ্য সবার থাকে না। আর তাই শিখে নিন ঘরে করা যায় এমন কিছু হালকা ব্যায়াম।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকে পা তুলে হাত দিয়ে ধরে রাখুন।
১০ সেকেন্ড এক পা এভাবে রেখে ছেড়ে দিয়ে অন্য পা তুলে ধরুন।
এভাবে প্রতিদিন ২০ বার করুন প্রতি পা ৩ বার করে করার পর ৩০ সেকেন্ড বিরতি নিন।
সোজা হয়ে দাঁড়ান ঘাড়ের পেছনে হাত দিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে আসুন, যতোদূর সম্ভব।
এভাবে ১০ বার করুন।
দাঁড়িয়ে দুই হাত কোমরে রেখে মাথা ডানে, বায়ে, সামনে এবং পেছনে এভাবে ১২ বার ঘোরান।
সোজা হয়ে শুয়ে মাথার পেছনে দুই হাত রেখে ওঠার চেষ্টা করুন, খেয়াল রাখবেন পা ভাঁজ করবেন না।
এভাবে ৮ বার করুন।
যেকোনো যোগব্যায়াম করার সময়ই কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।
সকালে হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করুন।
ব্যায়াম করার সময় আরামদায়ক পোশাক পরুন।
প্রথমেই বেশি সময় নিয়ে কঠিন ব্যায়াম করার করবেন না। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বাড়ান।
ব্যায়ামের কিছু বই এবং সিডি পাওয়া যায়। এগুলো দেখে নিতে পারেন।
নিয়মিত কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। দেহ-মনে সুস্থ থাকুন।
শারীরিক ক্ষমতা ও বয়স অনুযায়ী ব্যায়াম করবেন, ব্যাক পেইন বা শ্বাসকষ্ট থাকলে সব ধরনের ব্যায়াম করতে পারবেন না। তাই ব্যায়াম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো খাবার এবং জীবন যাপনের সঠিক পদ্ধতিগুলোও মেনে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করে সুস্থ থাকুন...