শুরু হয়েছে মাহে রমজান। রোজা রাখা নিয়ে সন্তান সম্ভবা নারীরা হয়ে পড়েছেন চিন্তিত।
তামান্না চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী মায়েদের বাড়তি যত্ন সব সময়ই দরকার। গর্ভবতী হলে রোজা রাখা যাবে কি না তা নিয়ে অনেক সময় তারা নানা সংশয়ে ভোগেন।
শুধু তারাই নন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকেন উৎকণ্ঠায়। কিন্তু গর্ভবতী মায়েদের রোজা থাকতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রোজার আগে ডাক্তারের কাছ গিয়ে চেকআপ করানোটা খুব জরুরি।
তিনি আরো বলেন, গর্ভবতী মায়েরা যেহেতু সারাদিন কিছু খেতে পারবেন না তাই সেহরিতে পুষ্টি জাতীয় খাদ্য বেশি খেতে হবে। খাবারে রাখতে হবে দুধের প্রাধান্য।
সাথে প্রোটিন যেমন ডিম, মাছ, মাংস পরিমাণ মতো খেতে হবে। কারণ একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির প্রয়োজন বেশি। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েরা রোজার আগে ডাক্তারের কাছ থেকে রোজার আগে ও পরের সময়ের খাদ্য তালিকা নিয়ে নিতে পারেন। এতে করে মা ও বাচ্চা দু’জনই সুস্থ থাকবেন।
তামান্না চৌধুরীর বলেন, যে কোনো গর্ভবতী মায়ের রুটিন চেকাপ ছাড়াও রোজা শুরুর আগে তার চেকআপ করাতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে একজন গর্ভবতী মা মানে মা ও শিশু দু’জনই।
গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে, বা কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা হলে ইসলামী শরিয়া মতে সেই মায়ের রোজা না রাখলেও চলবে।