মুসলমানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সবাই চাই বিশেষ এই দিনটিতে নিজেকে আকষর্ণীয় রূপে দেখতে।
ফারনাজ বলেন, ঈদের দিনের সাজ কি শুধু একবার? মোটেই না, সারাদিনের জন্য চাই নানা ধরনের সাজ। যেমন আমরা যখন রান্নাঘরে কাজ করবো সেই সাজে তো অতিথিকে আপ্যায়ণ করা যাবে না। এই বিশেষ দিনে। আবার প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সাজটাও তো হতে হবে আকর্ষণীয়। সন্ধ্যায় বা রাতে যখন বাইরে যাবেন? তখন সাজটা হবে একটু গর্জিয়াস তাইতো?
ঈদের দিনের সাজ তিন সময়ে ভাগ করে নিন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর এবং রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।
সকালে বাড়িতে রান্না বা অতিথি আপ্যায়ণের সময় সালোয়ার কামিজ অথবা সুতি শাড়ি পরুন। হালকা ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, লিপিস্টিক আর কাজল দিয়ে সাজ শেষ করুন। চাইলে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট একটি টিপও পরতে পারেন।
ঈদ এবার গরমে হচ্ছে তাই দুপুরটা বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। তারপরেও সাজটা একটু ঠিক করে নিন। দুপুরে হালকা রং-এর পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর ঠোঁট একে দিতে পারেন লিপগ্লস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে স্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না পরুন।
এবার রাতের সাজ
প্রথমে ব্রাস করুন, গোসল করুন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
এবার এক মগ চা বা কফি খেয়ে ঝরঝরে হয়ে সাজতে বসুন।
ওয়াটার বেজড্ ফাউন্ডেশন মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এর ওপরে কম্প্যাক্ট পাউডার দিন। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চোখে গাঢ় রঙ-এর শ্যাডো লাগিয়ে নিন। চোখের নিচে কাজল দিন। চোখের ওপরের পাতায় আইলাইনার দিয়ে মোটা করে লাইন টেনে নিন। দুই বার করে মাশকারা লাগান। ঠোঁট এঁকে গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। এবার ব্লাসন বুলিয়ে দিন দুই গালে। হয়ে গেল ঈদেরসাজ। শাড়ি পরলে মানানসই টিপ লাগিয়ে নিতে পারেন।
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না পরুন। গয়নার বিষয়ে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখুন, যদি বড় কানের দুল পরেন, তবে গলায় লম্বা চেন টাইপ কিছু পরুন।
পছন্দ মতো চুল সেট করে নিন।
এবার পারফিউম মেখে, ব্যাগে ঘরের চাবি, মোবাইল ফোন নিয়ে সবার সঙ্গে বেরিয়ে পরুন।
ছবি: ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক ফারনাজ আলম