বর্তমানে নারীরা পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করছে ঠিকই, কিন্তু সাংসারিক দায়িত্ব, অফিসের কাজের চাপ সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে তারা হাঁপিয়ে উঠছে।
তবে তা বলে প্রতিদিনের কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখাও সম্ভব নয়।
প্রথমেই স্ট্রেস চিহ্নিত করুন
নিজে আগে ভাবুন কোন ব্যাপারটায় আপনি স্ট্রেস অনুভব করেন। সেক্ষেত্রে একটি কাগজ-কলম নিয়ে বসুন। বাসায় বাজার নাই, অফিসের বিশেষ এ্যাসাইনমেন্ট, বাচ্চার হোম ওয়ার্ক, কাজের লোক ছুটিতে, অফিস ডেতে বন্ধুর বাসায় দাওয়াত, পরিবারের সবাইকে দেখতে হয় এরমধ্যে কোন বিষয়গুলো আপনাকে চাপের মধ্যে ফেলে সেগুলো এক এক করে লিখে ফেলুন।
এবার কী করবেন?
যে কোনো পরিস্থিতিতে দু বার ভাবুন, যে চাপ আপনি অনুভব করছেন, তা আসলে কতটা স্ট্রেসফুল।
কীভাবে প্রতিটি কাজ আনন্দদায়ক করা যায় ভাবুন। সেক্ষেত্রে মিউজিক টনিকের কাজ করবে। যেমন- সারাদিন পর বাড়ি ফিরে সরাসরি রান্নাঘরে নয়, আপনার পছন্দের কোনো মিউজিক চালিয়ে দিন এবং ফ্রেশ হয়ে নিন।
তবে অফিস থেকে ফিরে শুয়ে না পড়া ভালো। তাহলে আরো বেশি ক্লান্ত লাগবে। শাওয়ার নিয়ে নিতে পারেন। তারপর চা খেতে খেতে গল্প করতে পারেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিংবা টিভি বা ফেসবুক খুলে বসতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতে পারেন সব বন্ধুদের অবস্থা।
সারাদিনের মজার ঘটনা শেয়ার করুন পরিবারের সবার সাথে। সবাই মিলে রাতের খাবার খান এবং সুযোগ থাকলে ঘুমাতে যাবার আগে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে বাইরে হেঁটে আসুন। যদি সে সুযোগ না থাকে ছাদে বা বারান্দায় কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন।
সপ্তাহের সবদিন যাই করুন না কেন চেষ্টা করবেন ছুটির দিন তা না করতে।
অফিসে দরকারি কাজগুলো দিনের শুরুতেই করার চেষ্টা করুন। দেখবেন টেনশন কমে যাবে। কারণ দুপুরের পর কাজ করার ইচ্ছা কমে আসে।
নিজের কাজ করুন ঠিকমতো। সেই সাথে মনে রাখবেন সবাইকে খুশি করা আপনার পক্ষে সম্ভাব নয়।
মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে বা ডিপ্রেশড লাগলে যদি পারেন কিছুক্ষণের জন্য একা হয়ে যান। মুখে পানি দিন অথবা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ভেতরে রাখুন এবং আস্তে আস্তে ছাড়ুন।
মাঝে মাঝে পার্লারে গিয়ে নিয়ে নিতে পারেন স্পা বা ফুট মাসাজ কিংবা ওয়েল ট্রিটমেন্ট। ক্লান্তি কেটে যাবে সেই সাথে লাগবে বেশ ফুরফুরে।
যেটা হয়ে গেছে তা নিয়ে অযথা ভেবে মন খারাপ করবেন না। সামনে আরো দিন পড়ে আছে।
ছুটির দিন পরিবারের সাথে সময় কাটান, বাইরে ঘুরতে যান, বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিন।
এই সবকিছু ব্যালেন্স করার জন্য চাই এনার্জি। তাই পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার সময় মতো খান, কোনো বেলার খাবার স্কিপ না করাই ভালো। জিমে যেতে না পারলে ঘরে ডান্স করতে পারেন কিংবা ইয়োগো।
সব কথার শেষ কথা, মনে জোর রাখবেন। ভাববেন আপনি একা একসাথে অনেক কিছু সামলানোর ক্ষমতা রাখেন। আপনার মধ্যে আছে অপার সম্ভাবনা। আপনিই পারবেন একটি আদর্শ জীবন কাটাতে।