নিজের পায়ে দাড়ানো শেখার পর থেকে এই পা দুটোর ওপর ভর করে পুরো দুনিয়া ঘুরছি। কিন্তু সেই পা দুটো একটু সুন্দর রাখতে আমরা অনেকেই বেশ অলস।
ওয়াক্সিং
অনেকের পায়ে অতিরিক্ত লোম থাকে। যেগুলো তার অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য পায়ের লোম তুলতে ঘরোয়া উপায়েই তৈরি করুন ওয়াক্সিং মাস্ক। আর পান মসৃণ-উজ্জ্বল দুটি পা।
যা যা লাগবে-
চিনি-১ কাপ, মধু ১/২ কাপ ও লেবুর রস ১/২ কাপ। পাত্রে চিনি, মধু ও লেবুর রস দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার পায়ে হালকা করে পাউডার পাফ করুন। বাটার নাইফের সাহায্যে তৈরি করা মিশ্রণটি লাগান। এরপর সুতি কাপড় পায়ে লাগানো মিশ্রণটির ওপর রেখে লোমের বিপরীতে টান দিন। এতে করে লোম কাপড়ের সাথে উঠে আসবে। সবশেষে হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে নিন।
হাঁটু ও গোড়ালীর কালো দাগ
অনেক সময় হাঁটু ও গোড়ালীতে কালোদাগ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে হাঁটু গোড়ালীতে খোসাসহ লেবু ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঘষুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। তোয়ালে দিয়ে রগড়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে উপকার পাবেন। টকদইয়ের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে পায়ে লাগান। টকদই কালোদাগ দূর করে।
পায়ের জন্য স্ক্রাব-
চিনির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন। চিনির দানা গলে যাওয়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এক টেবিল চামচ চিনির সাথে এ চা চামচ যেকোনো ভেষজ তেল মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। এটি পায়ের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
টিপস-
রাতে ঘুমোতে যাবার আগে হালকা গরম পানিতে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন।
ফাঁটা গোড়ালীতে পেঁয়াজ বাটা লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি একমাস ধরে ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।
সরষের তেল পায়ের জন্য খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার। গোছলের শেষে পায়ে সরষের তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর তোয়ালে ভিজিয়ে পা মুছে ফেলুন। এতে অতিরিক্ত তেল উঠে আসবে।
পায়ের রং শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি ময়লা হয়। মসুরের ডাল বাটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে এলে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এটি পায়ের ত্বকের রং ফর্সা করে ও কোমলতা দেবে।