প্রতিটি মানুষের অতীত থাকে। সেখানে থাকতে পারে সুখ-দু:খ, আনন্দ-বেদনা।
আমাদের পৃথিবীতে কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিত্য নতুন সম্পর্কে জড়াতে পছন্দ করেন। তারা প্রেমকে উপভোগ করেন। এদের মধ্যে অনেকে হয়ত পছন্দের কাউকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। সংসার শুরুর আগে অনেকের প্রেম-ভালোবাসার কাহিনী থাকে। এসব নিয়ে যদি কাউকে বলা হয় আপনার বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে এসব নিয়ে কতটুকু শেয়ার করবেন। তাহলে হয়ত অনেকেই বলবেন মোটেই শেয়ার করা উচিত না। আবার অনেক মানুষই ভাববেন তার জীবন সঙ্গীর সঙ্গে অতীতের সব বিষয়ই শেয়ার করা উচিত।
অতীত রিলেশন সম্পর্কে আপনার বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে কতটুকু শেয়ার করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা হলো-
সততা একটি ভালোবাসার সম্পর্ক, সংসার জীবন এবং অন্য কিছুর বিশ্বাস এবং সম্মান অর্জনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই অঙ্কবাচক নিয়মটি সম্পর্ক মানুষের দাম্পত্য জীবনে বেশ খারাপ ভূমিকা রাখছে। এর কারণে মানুষের সময়ের গতিবিদ্যা পরিবর্তিত হয়েছে। বেশি সুখের কারণে হয়ত একজন তার সঙ্গীর কাছে অতীতকে প্রকাশ করে। এই অতীত ইতিহাসে এমন কিছু তুলে ধরা উচিত নয় যা বর্তমান সময়ের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে আনন্দ দিতে পারে এমন অতীত শেয়ার করাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি অ্যামেরিকান রিলেশনশিপ গবেষণা সংস্থার গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি একজন মানুষের বিবাহিত জীবন সঙ্গী তার অতীত একমাত্র প্রেমের সম্পর্ক হয় সেক্ষেত্রে অতীত প্রকাশ করা বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কিন্তু যাদের দাম্পত্য জীবনের আগে একাধিক প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক থাকে তাদের এবিষয়ে যতটুকু পারা যায় শেয়ার না করাই ভালো। প্রকাশিত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪৫ শতাংশ দম্পতির দাম্পত্য জীবনে মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শুধুমাত্র তাদের অতীত জীবনের কথা শেয়ার করার কারণে।
অন্যদিকে প্রায় ১৫ শতাংশ দম্পতি তাদের অতীত জীবনের কথা শেয়ার করে দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অবশ্য রিপোর্টে শুধু অতীতে ভালোবাসার কথা শেয়ার করার কারণে দাম্পত্য জীবনে হতাশ হয়েছে শুধু তা বলা হয়নি। এখানে অতীতের ভালোবাসার সম্পর্কের কথার পাশাপাশি অতীতের কর্মকাণ্ডের কথা শেয়ার করার কথা বলা হয়েছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সবার মন মানসিকতা এক নয়। একজন খুব সহজে যে বিষয়টি মেনে নেয়, অন্যজন সেই ঘটনায় অনেক বেশি রিঅ্যাক্ট করে। যারা নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন, সময় নিন। সঙ্গীকে বোঝার চেষ্ট করুন। তারপর অতীতের যে বিষয়গুলো আমাদের দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, সে বিষয়গুলো শেয়ার করুন।
আর সঙ্গীকে যে বিষয়ে অকপটে বলতে পারবেন না, সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।