তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এর সঠিক প্রয়োগ আমাদের জানতে হবে। Internet search করে দেখেন যে, এই খাবারে এই গুণ, ঐ খাবারে ঐ ক্ষতি এছাড়া আরও কত কি!
যেমন, আজকাল Internet এ দেখে অনেকেই কালিজিরা আর দই খাচ্ছেন, ওজন কমানোর জন্য।
তবে হ্যাঁ দই ও কালিজিরার অনেক গুণ রয়েছে, যা শরীরের জন্য উপকারী। আবার, মেথি খেলে ডায়াবেটিস কমে... মেথি গুঁড়া মুঠি মুঠি খেয়ে নিচ্ছেন। একবারও ভাবছেনা কিডনির কি হবে? আবার ধরুন, কফি, যাতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এ সাহায্য করে। এখন এই তথ্য দেখে কোনো এনিমিয়ার রোগী যদি তার প্রেশার এর জন্য কফি খায় তাহলে কি ঠিক হবে?
আরো আছে রসগোল্লা, Internet এ আছে রসগোল্লা খেলে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়, এখন কোনো রোগী যার high protein প্রয়োজন আবার তার যদি রক্তে TG অর্থাৎ ট্রাইগ্লিসারাইড ( চর্বি) বেশি থাকে তাহলে সে কি প্রোটিনের জন্য প্রতিদিন রসগোল্লা খাবে?
Internet এ অনেক তথ্য থাকে যা ভুল আমি বলছিনা, কিন্তু এর সঠিক implementation( প্রয়োগ) খুব জরুরি। Internet এ search দিলে যে কোনো খাবারের Advantage / disadvantage দেখা যায়, তাই বলে কি সবাই তাই মেনে চলবে?
YOU MUST TALK WITH AN EXPERT. ( অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে) কারণ একেক জনের সমস্যা একেক রকম। কারও কালিজিরাতে উপকার আবার কারও মেথিতে।
আপনি যদি ফর্সা হওয়ার tips জানতে চান Internet এ, তবে তা থেকে আপনি তার অনেক সমাধান পাবেন, সব ই কি Try করবেন? সব খাবারে পুষ্টি রয়েছে, রয়েছে কিছু না কিছু উপকার। তবে পরিমাণ কে কতটুকু খাবে সেটা হল গুরুত্তপুর্ণ।
Internet এ যেকোনো অংকের সুত্র আছে, কিন্তু অংক বুঝতে স্কুলেই যেতে হয়। তাই, internet এ বিশ্বকে জানা যায়, জয় করা যায়না। বিশ্বকে শুধু মানুষ তার পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে জয় করতে পারে।