রাত ৮টা: কি করেন?
রাত ১০টা: হাই।
রাত ১২ টা: গুডনাইট।
রাত ২টা: হাই বন্ধু ঘুমাচ্ছো?
এই যখন আমাদের স্যোসাল মিডিয়ায় বন্ধুদের অবস্থা। দিনের পরদিন কিছু বন্ধু তৈরি হয়েছে যারা এভাবে নক করেই চলে, হয়তো ৬ মাস বা এক বছরেও কোনো উত্তর দেয়া হয় না।
আসলে আমরা ইন্টারনেট জগতে নিজেদের ভালোভাবেই বাসিন্দা করে নিয়েছি। অনেক চেনা-অচেনা বন্ধু পাচ্ছি আমরা ফেসবুক, লিংকডইন বা টুইটারের মাধ্যমে। আর যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী করতে রয়েছে ভাইবার, ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটস্ অ্যাপ।
এই মাধ্যমগুলোর সুবিধা তো বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সেই সুবিধা অনেক সময়ই মাথাব্যথার কারণও হয় অনেকের অদূরদর্শীতার কারণে।
যেমন আপনি হয়তো কোনো জরুরি মিটিং-এ আছেন, কেউ প্রতি মিনিটে নক করেই যাচ্ছে। অপরিচিত কেউ রাত দুপুরে ভিডিও কল দিচ্ছে।
অনেক সময় কোনো অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাড করে নিচ্ছে। আরও আছে, ব্যক্তিগত ছবি ট্যাগ করে দিচ্ছে। কেউ আবার নিজের নামে পেজ খুলে ইনভাইট করছে। ছবি বা স্ট্যাটাসের নিচে আপত্তিকর লিংক পোস্ট দিচ্ছে।
এসব সমস্যা হয়তো আমরা সবাই কম বেশি ভুক্তভোগী। আসলে যারা এভাবে নক করেন, তাদেরও ভাবতে হবে, যখন দিনের পর দিন নক করার পরও সে উত্তর দিচ্ছে না, তার মানে তিনি সম্পর্কটা এগোতে চাইছেন না।
অপরিচিত কাউকে ভিডিও কল করার আগে অবশ্যই তার অনুমতি নেয়া দরকার, আর উত্তর না পেয়েও গভীর রাতে কাউকে বিরক্ত ও বিব্রত করা থেকেও নিজেকে একটু সংযত রাখতে পারলেই মঙ্গল।
আর এতো কিছু যারা সহ্য করছেন, এবার তাদের জন্য বলি... ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এলে বন্ধু তালিকায় জায়গা দেয়ার আগে একবার তার ওয়ালটা ঘুরে আসুন। যদি নাম, ছবি সব ঠিক থাকে তবেই তাকে বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিন। আর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও অথবা কোনো তথ্য অল্প পরিচিত কারও সঙ্গে শেয়ার না করে আমরা ভবিষ্যতের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পারি।
সব শেষে বলবো, নিজের পাসওয়ার্ড স্ট্রং করে রাখবেন, ট্যাগ অপশন বন্ধ রেখেও নিজেকে কিছুটা নিরাপদ রাখা যায়।
এসব বন্ধুত্ব যেন কোনোভাবেই ব্যক্তিগত সম্পর্ককে নষ্ট না করে এদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে, সবার সঙ্গে সুস্থ বন্ধুত্ব রক্ষা করি। নিজের যোগাযোগ ও জানার পরিধি বাড়াই।
যখন কোনো কিছুই কাজে দেয় না। তার জন্য ব্লক অপশনটা কিন্তু রয়েই গেলো।