এছাড়া অনেকেই মনেও করে থাকি যে, সিজারিয়ান শিশুর জন্ম ঝুঁকি কম থাকে এবং তুলনামূলক সুস্থ শিশু জন্ম দিতে পারি।
এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি একেটি গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, সিজারিয়ান শিশু স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের তুলনায় স্বাস্থ্যগত সমস্যায় বেশি ভোগে।
দেখা গেছে, সিজারিয়ানের জন্ম নেওয়া অপরিণত শিশুদের জন্মে কোনো উল্লেখযোগ্য সাহায্য করে না। উপরন্তু তাদের নিঃশ্বাসজনিত সমস্যার কারণ ঘটায়।
ডায়েমস এর ডেপুটি চিকিৎসা পরিচালক ডায়ান অ্যাস্টন তার গবেষণা কাজটির মাধ্যমে প্রচলিত সিজারিয়ান পদ্ধতি সম্পর্কে সকলের ধারণা পাল্টে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই সিজার করা শিশু বা মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন, কিন্তু এই গবেষণা প্রমাণ করেছে যে সব ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য অপারেশন লাভজনক নাও হতে পারে। কারণ শিশুর মায়ের গর্ভে স্বাভাবিকভাবে পরিপক্ক হতে ৩৯ সপ্তাহ প্রয়োজন হয়। মোট ২৫৬০ জন অপরিণত শিশুর জন্ম প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে একসঙ্গে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সেখানে দেখা যায়, অপরিণত বৃদ্ধি এবং যে সব শিশুরা গর্ভে প্রয়োজনমতো বাড়ছে না তাদের বেলায় সিজার হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থার ৩৪ সপ্তাহ জন্মগ্রহণকারী সিজারিয়ান এবং স্বাভাবিক ২৫৬০ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য দেওয়া হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুদের চেয়ে ৩০ শতাংশ সিজারিয়ান শিশুর মাঝে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি ৩২তম বার্ষিক ‘দ্যা প্রেগনেনসি মিটিং’ এ প্রকাশিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাঃ ওসমান গণি বাংলানিউজকে বলেন, অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি মা ও শিশুর জন্য ভালো। বিশেষ করে মায়ের শরীরে বার বার অস্ত্রপচারের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। উন্নত দেশে যেখানে ৯৫ শতাংশ মা নরমাল ভাবে সন্তান প্রসব করেন, আমাদের দেশের চিত্র পুরোই উল্টো।
সিজার এড়িয়ে স্বাভাবিক ভাবেই সুস্থ সন্তান প্রসবের জন্য প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সাহায্য নেয়ার পরামর্শ দেন ওসমান গণি।