ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ঘুমের জন্য 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
ঘুমের জন্য  ঘুমের জন্য 

অনেকেরই রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। যার প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজে-অন্যের সঙ্গে আচরণে। 

নিয়মিত ঘুম আমাদের সুস্থ রাখে, প্রতিদিন নতুন করে কাজ করার শক্তি যোগায়। এজন্য প্রয়োজন কতটুকু ঘুমে আমি সম্পূর্ণ ফ্রেশ ও সতেজ অনুভব করি তা বের করা।

যেমন- কেউ যদি জানে আমার ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন, তবে হিসাব করতে সহজ হবে পরদিন কাজে যেতে হলে কয়টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে। তার ওপর নির্ভর করে ঠিক কখন ঘুমোতে যেতে হবে সেটাও ঠিক করা এবং ব্যক্তিগত আচরণে কিছু পরিবর্তন আনা।

ঘুমের ছন্দ ঠিক করতে:

১.    ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট সময় ঠিক করা (যা নিজের জন্য হিসাব করে বের করে নিতে হবে), যা স্বাভাবিক ঘুমের ছন্দকে ঠিক করতে সাহায্য করবে। কাজের সময় ফ্রেশ থাকা যাবে।

২.    দিনের বেলা না ঘুমানো।
খুব প্রয়োজনে দুপুরের পর ৩০মিনিট থেকে ৪০মিনিট ঘুমানো যায়, তবে এর চেয়ে বেশি নয়। খেয়াল রাখতে হবে রাতের ঘুম যাতে নষ্ট না হয়।

৩.    যেকোনো ধরনের উত্তেজক বা নেশা- চা, কফি ঘুমাতে যাবার কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে থেকে বন্ধ রাখা। এমনকি ঝাল জাতীয় খাবার রাতের বেলা না খাওয়া।

৪.    হালকা ব্যায়াম ঘুমের গভীরতা আনতে সাহায্য করে। তবে তা ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে।

ঘুমের পরিবেশ:

১.    নিজের জন্য আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা করা।
২.    ঘুমের জন্য দরকারি তাপমাত্রা, শব্দ এবং আলোর কথা মনে রাখতে হবে। খুব বেশি ঠাণ্ডা-গরম, শব্দ বা আলো ঘুমের সমস্যা করতে পারে।
৩.    শোবার ঘরে প্রয়োজনীয় বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
৪.    শোবার ঘরের বিছানা শুধুই ঘুমের জন্য। বিছানায় শুয়ে টিভি দেখা ঠিক নয়।
৫.    শোবার ঘরে টিভি বা কম্পিউটার না রাখাই ভালো। যদি থাকে তবে অবশ্যই বন্ধ করে বিছানায় যেতে হবে।
৬. হাতের ফোনটি পারলে বিছানায় না আনুন, ঘুম ভালো হবে।  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।