অবশ্য যদি কোনোভাবেই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তবে এটা আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবনকে বিষিয়ে তুলবে। রাগকে বশে আনা বেশ কঠিন ব্যাপার।
মেডিটেশন করুন
রাগ বশে আনার ক্ষেত্রে মেডিটেশন বা ধ্যান খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি অনুশীলন করার জন্যে আপনাকে নিঃশ্বাসের দিকে গভীর মনোনিবেশ করতে হবে। ২০১৫ সালে পরিচালিত একটি মনস্তাত্ত্বিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, মেডিটেশন চর্চায় রাগ কমার পাশাপাশি বিষণ্নতাও কমে এবং মানুষ স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যান। গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন
ওই মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা অনুযায়ীই, নিঃশ্বাসের অনুশীলনের ফলে আপনার রাগ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। সেই সঙ্গে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং শরীরে শান্তি আসে।
প্রণালি
• আরাম করে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন
• পেটের উপর হাত রাখুন
• নাক দিয়ে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিন এবং পেট স্বাভাবিক রাখুন
• কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিঃশ্বাস ধরে রাখুন
• এবার মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে দিন
• রাগ পুরোপুরি বশে না আসা পর্যন্ত এ উপায়ে অনুশীলন করতে থাকুনস্ট্রেস বল ব্যবহার করতে পারেন
তাৎক্ষণিক ফলাফলের জন্য স্ট্রেস বল দারুণ কাজে আসতে পারে। এটি চাপ দিয়ে আপনি চিন্তাসমূহকে মুক্ত করে দিন এবং পেশীকে আরামদায়ক অবস্থানে নিয়ে যান। অনেক সময় যাবত স্ট্রেস বলে চাপ দেওয়ার পর আপনার হাত যখন ব্যথা করা শুরু করবে, সেটিই একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে আপনার রাগ এখন কমার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। তাছাড়া এর মধ্যে আপনি ভুলেই যাবেন যে কেন রাগ কিংবা অভিমান করেছিলেন।
দশ পর্যন্ত গুনুন
এই পুরনো পদ্ধতিটি আপনাকে অনেকখানি স্বস্তি দেবে রাগ থেকে। এতে আপনি দুশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে স্পষ্টভাবে চিন্তা করতে পারবেন।
হাঁটাহাঁটি করুন
আপনি যখন খুব রাগান্বিত বোধ করেন, তখন কারও সঙ্গে কথা না বলে নিজের মনে হাঁটতে থাকুন। এতে নিমিষেই আপনি একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করে রাগের লাগাম টেনে ধরতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
বিএটি/এইচএ/