ময়েশ্চারাইজ কন্ডিশনার
প্রাথমিকভাবে হালকা ময়েশ্চারাইজার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই জরুরি যে, আপনার মাথার ত্বক যেন শুষ্ক না হয় কিংবা ফেটে না যায়।
চা গাছের তেল
চা গাছের তেল থেকে তৈরি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও অন্যান্য চুলের প্রসাধনী মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ব্যাপকভাবে কাজ করে। এটি খুশকি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ উপকারী। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার চা গাছের তেল চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।
ভিটামিন ‘বি’ ও জিঙ্ক
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ‘বি’ ও জিঙ্ক অতি জরুরি। আখরোট, ডিম ও শাক-সবজিতে ‘বি’ ও জিঙ্ক পাওয়া যায়। আপনার যদি এসব খেতে ভালো না লাগে তাহলে সালাদ বানিয়ে মেয়োনিজ দিয়ে খেয়ে নিন। দেখতেও আকর্ষণীয় হবে স্বাদ ও বেড়ে যাবে।
কম প্রসাধনী ব্যবহার
যেহেতু শীতে ত্বক ও মাথার ত্বক শুকনো হয়ে যায় ও চুলও আর্দ্রতা হারায় তাই এ সময়ে চুলে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা পণ্যের রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ মাথার ত্বকে চুলকানি ও ঘন ঘন খুশকির উদ্রেক করে।
বেশিবার চুল ধুবেন না
ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি হতে পারে। গরম পানি কখনোই মাথায় ঢালবেন না। গোসলের সময় বেশি ঠান্ডা লাগলে আগে দাঁড়িয়ে থেকে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
হালকাভাবে ঘষুন
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আলতোভাবে ঘষুন। নাহলে মাথার ত্বক চিরে যেতে পারে ও ফুসকুড়ি উঠতে পারে। চুলে রঙ করলে মাথার ত্বকে এর প্রভাব পরে ও খুশকি হয়। শীতে চুলে রঙ করা থেকে বিরত থাকুন অথবা আপনার চুলের আর্দ্রতা অনুযায়ী একটি রঙ বেছে নিন।
তেল গরম করে নিন
জলপাই বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। সাথে দু’এক ফোঁটা সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার তেল যোগ করে দিন। হালকা ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আপনার চুল শুধু খুশকি মুক্তই হবে না শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় হবে।
ভালোভাবে পরিষ্কার করুন
খুশকি মূলত চুল ভালোমতো না ধোয়ার কারণে বেশি হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও যথেষ্ট বিশ্রাম গ্রহণ করুন। খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে চুল ধুতে যাবেন না। খুশকি তাড়াতে লেবু পানি ব্যবহার করতে পারেন।
উপায়গুলো ব্যবহার করে এই শীতেও চুলকে রাখুন খুশকিমুক্ত, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং সুন্দর। আকর্ষণীয় ও মজবুত চুল উপভোগ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এমএসএ/এমজেএফ