১. আপনার সঙ্গে কেউ থাকলে তাকে বেশি গুরুত্ব দিন। তাকে দাঁড়িয়ে রেখে আপনি ফোনে কথা বললে ওই ব্যক্তি নিজেকে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে পারেন।
২. ফোনে কথা বলার সময় আপনার ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখুন। কেউ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে জানতে আগ্রহী নয়।
৩. নিচু স্বরে কথা বলুন। ফোনে জোরে কথা বলা সবার কাছেই অস্বস্তিকর একটি বিষয়।
৪. সবার ব্যক্তিগত কথাবার্তাকে সম্মান দিন। কেউ ফোনে কথা বললে দূরত্ব বজায় রাখুন। গায়ে পড়ে কারও কথা শোনার চেষ্টা করা একদমই উচিৎ নয়।
৫. ধর্মীয় স্থান, বিয়ে বাড়ি, শোককৃত্য, সিনেমা হল, ডাক্তারের চেম্বার ও জনবহুল জায়গায় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন।
৬. শ্রুতিমধুর রিংটোন ব্যবহার করুন। রিংটোনের ভলিউম খুব জোরে না দেওয়াই ভালো।
৭. গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশে এটি নিষিদ্ধ। খুব জরুরি হলে হেডফোন অথবা ব্লু টুথ ডিভাইস ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই সাবধানতা আগে।
৮. গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে গল্প করার সময় মোবাইল ফোন পকেটে রাখুন। এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হয়।
৯. কারও কল, বার্তা কিংবা ই-মেইল আপনি খেয়াল না করলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং সময়মতো আন্তরিকতার সঙ্গে রিপ্লাই করুন।
১০. কেউ একবার ফোন রিসিভ না করলে তাকে আর কল দেওয়া উচিৎ নয়। খুব বেশি ইমার্জেন্সি হলে দ্বিতীয়বার দিতে পারেন। এর পরেও না ধরলে ১০ মিনিট পর চেষ্টা করুন।
১১. কল দেওয়ার আগে কথা গুছিয়ে নিন। কল দেওয়ার পর আমতা আমতা করা মোটেও ভালো নয়। আপনার অপর প্রান্তের লোকটি ব্যস্তও থাকতে পারেন। এজন্য সবার আগে ‘কথা বলার সময় হবে কি না’ জিজ্ঞাসা করে নিন।
১২. ফোনের ফিচারগুলো ব্যবহার করুন। যেমন: ই-মেইল, ভয়েস মেইল, কলার আইডি ইত্যাদি। এতে করে আপনার জরুরি তথ্য মিস হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ফলে যোগাযোগ ঠিক থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমএসএ/আরআর