শুধু তাই নয়, এসব ভেষজ ব্রণ, র্যাশ, ছোপ ছোপ দাগ দূর করে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও কর্মঠ করে তুলতে পারে। ত্বকের ভেতরকার লাবণ্য ফুটিয়ে তোলায় কার্যকরী ভেষজ উপাদানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেল এবং বাজারে যে প্রক্রিয়াজাত অ্যালোভেরা পাওয়া যায়, দুই-ই সমানভাবে ত্বকের পরিপূর্ণ বিকাশে অবদান রাখে। এটি ত্বককে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তোলে। আপনি চাইলে অ্যালোভেরার রস পান করতে পারেন। স্বাদে একটু তেতো হলেও স্বাস্থ্যগুণের দিক দিয়ে অনন্য।
নিম
নিম ত্বকের যেকোনো সমস্যার চমৎকার সমাধান হিসেবে কাজ করে। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, যা ত্বকের যেকোনো অসামঞ্জস্যতা যেমন- কালো ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণ ও র্যাশ দূর করতে সক্ষম। নিমের গুঁড়ো কিংবা নিম পাতা বেঁটে খুব সহজেই ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
হলুদ
সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্যে রূপচর্চায় হলুদের জুড়ি নেই। বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনি পাবেন উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় ত্বক। এছাড়া প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে ভেতর থেকে এক ধরনের আভা ফুটে উঠবে চেহারায়।
চন্দন
চন্দনে অ্যান্টি-টক্সিক এবং ক্ষত সারিয়ে তোলার উপাদান রয়েছে। এটি মুখের দাগ, অ্যালার্জি এবং ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। আপনি আক্রান্ত স্থানে এক চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং নারিকেল তেল কিংবা তিলের তেল মিশিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে করে অনেকটা আরাম এবং উপকার পাবেন।
গোলাপ
গোলাপের গুণের কথা বলাই বাহুল্য। সুবাসের দিক থেকে গোলাপ তো দুনিয়ার সেরা। গোলাপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, যা ত্বককে সুন্দর ও মোলায়েম করে তোলে। সাথে সাথে উজ্জ্বলতাও বাড়ায়। প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর তুলার বলের সাহায্যে গোলাপ জল দিয়ে মুখটা মুছে নিতে পারেন, এটি প্রাকৃতিক টোনারের কাজ করবে।
জাফরান
দামের দিক থেকে একটু বাড়তির দিকে হলেও জাফরান রূপচর্চায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বককে পরিষ্কার করার পাশাপাশি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে রক্ত পরিষ্কার করে। পানিতে অল্প একটু জাফরান মিশিয়ে সারা মুখে ফেসপ্যাকের মতন লাগান। কয়েকদিনের মধ্যেই ফলাফল টের পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
বিএটি/এমজেএফ