ভরপুর পুষ্টিগুণ
কোয়েল পাখির ডিম ভিটামিন ও খনিজের প্রাচুর্য। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই।
অ্যালার্জিজনিত রোগ প্রতিরোধ করে
পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই অ্যালার্জিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোয়েলের ডিম এসব সর্দি ও কাশির বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। এতে রয়েছে অ্যালার্জি প্রতিরোধকারী উপাদান। গবেষণায় দেখা যায় কোয়েলের কাঁচা ডিম অ্যালার্জির লক্ষ্মণ ও মাত্রা উভয়ই কমিয়ে দিতে পারে।
হাঁপানি শিথিল করে
কোয়েলের ডিমের অ্যালার্জি প্রতিরোধকারী উপাদান হাঁপানির বিরুদ্ধেও কাজ করে। ধুলোবালির জীবাণুতে আক্রান্ত ১৮০ জন হাঁপানি আক্রান্ত শিশু নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কোয়েল পাখির ডিম খেয়েছে তাদের হাঁপানির তীব্রতা ও অস্থিরতা উল্লেখযোগ্যহারে কম।
ত্বক কোমল রাখে
কোয়েলের ডিমের সাদা অংশে লাইসিন-৮ নামে এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ত্বকে কোলাজেন গঠনে লাইসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোলাজেন হলো একটি প্রোটিনের নাম যা ত্বক কোমল রাখে ও ত্বকের প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের শরীর এ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে না। তাই এর ঘাটতি পূরণে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ও চোখ ভালো রাখে
এই ডিম ভিটামিন ‘এ’ এর ভালো উৎস। যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভিটামিন ‘এ’ অল্প আলোয় চোখকে দেখতে সাহায্য করে ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ভিটামিন ‘এ’ চোখের কর্নিয়া ও অন্য অংশে পুষ্টি দেয়। এর অভাবে বাচ্চাদের রাতকানা রোগ হয়।
বার্ধক্য প্রতিরোধ করে
ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ অনুযায়ী কোয়েলের ডিম বয়সের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে। কোয়েলের ডিমে কোলিন নামে এক ধরনের পুষ্টি থাকে যা মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ম রাখে, বিশেষত বয়স বাড়ার ব্যাপারে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক থাকে যা ত্বকের জন্য ভালো। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
ডায়াবেটিস মোকাবিলা করে
ডায়াবেটিস একটি বিপদজনক অবস্থা যা কেবল বাড়তেই থাকে। ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধে খাবার তালিকায় কোয়েলের ডিমের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করা হয়।
সতর্কতা
কোয়েল পাখির ডিম পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। কিন্তু এটি অতি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল সম্পন্ন। ১০০ গ্রাম কোয়েলের ডিমে ৮৪৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। যা মুরগির ডিমের চেয়েও বেশি মাত্রার কোলেস্টেরল। তাই আপনি যদি দৈনিক প্রয়োজনীয় ২০০ গ্রামের বেশি কোলেস্টেরল খেয়ে ফেলতে না চান তাহলে গপাগপ কোয়েলের ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই একটু সাবধানী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএসএ/এএ