চটজলদি জেনে নিন, খাদ্য তালিকায় কেন প্রতিদিন টমেটো রাখবেন:
সুস্থ ত্বক
টমেটো উচ্চ লাইকোপিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। টমেটো থেঁতো করে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন অনেক দিনের।
ক্যান্সার দূরে থাক
কয়েকটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, টমেটোতে থাকা উচ্চমানের লাইকোপিন প্রস্টেট, কোলন ও পাকস্থলির ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় না। লাইকোপিন হচ্ছে এক প্রকার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের সেল তৈরিতে বাধা দেয়।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, কাঁচা টমেটোর চাইতে রান্না করা টমেটোতে লাইকোপিনের পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং আজ থেকে তরকারিতে যত খুশি টমেটো ব্যবহার করতে পারেন।
মজবুত হাড়
তুলতুলে নরম এ ফলটি মজবুত হাড় গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে। আর এ দু’টি উপাদানই শক্ত হাড় গঠন ও টিস্যুর পুনর্গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই টমেটো
টমেটোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। এসব ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন রক্তে জমা হওয়া সব টক্সিনকে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।
হৃদপিণ্ডের ভালো বন্ধু
টমেটোতে ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম থাকায় এটি কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায়। টমেটোর জুস খেয়ে সহজেই হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
কিডনির সুরক্ষায়
টমেটোর সালাদ নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় থাকবে না।
ভালো দৃষ্টিশক্তি
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় টমেটো দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। যাদের রাতকানা রোগ রয়েছে তাদের জন্য টমেটো ভালো ওষুধ।
একটি মাঝারি আকারের টমেটোতে রয়েছে ২২ কিলোক্যালরি, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, এক গ্রাম ডায়েট্রি ফাইবার, ১ গ্রাম প্রোটিন, ৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ও প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
আরও রয়েছে ৪০ শতাংশ ভিটামিন সি, ২০ শতাংশ ভিটামিন এ, ২ শতাংশ আয়রন ও ১ শতাংশ ক্যালসিয়াম। আর ফ্যাট! একদমই নেই।