কিন্তু আসলেই কি তাই? বাস্তবতা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি বক্তব্য শুনে আমরা শুরুতে যেমন অনুপ্রেরণা পাই, এটি দীর্ঘ সময় আমাদের মধ্যে একই ভাবে কাজ করে না।
এক ঘণ্টার একটি বক্তব্য অনেক সময়ই আমাদের জীবন পাল্টে দিতে খুব বেশি ভূমিকা রাখে না।
আমরা সাধারণত মোটিভেশনাল স্পিকারের বক্তব্য বা তার লেখা কোনো বই পড়ে মোটিভেশন পাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু লক্ষ্য অর্জনের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে সফল হওয়ার সেই চেষ্টা মাঝ পথেই ব্যর্থ হতে পারে।
দেখা যায় বক্তব্য শোনার পরদিন থেকেই জীবনযাপনের অনেক কিছু পাল্টে ফেলেন, তবে এটা দুই-একদিন বা দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার আগের রুটিনে ফিরে আসেন।
মোটিভেশনাল স্পিকার স্টেজে সফলতার যেমন গোছানো গল্প বলে যান, তার ব্যক্তিগত জীবন ঠিক ততটা সফল নয়। অথবা তিনি যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেগুলোও ভালো করতে পারেনি তখন শ্রোতাও সেই স্পিকারের কথা অনুসরণ করার আগ্রহ পান না।
মোটিভেশনাল স্পিকার অনেকের সামনে বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে বেশিরভাগ সময়ই নিজের সফলতার গল্প দিয়েই দর্শকদের বোঝাতে চান। সবার শিক্ষা, চাহিদা, আগ্রহ, দক্ষতা সে বিষয়ে নাও থাকতে পারে। এজন্য এসব বক্তব্য সবার জন্য সমান কাজে আসে না।
শুধু প্রোফেশনাল মোটিভেশনাল স্পিকারই আমাদের জীবনের সঠিক দিক নিদের্শনা দিতে পারবেন, এটা মনে করা সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। কারণ আমরা পরিবারের কোনো সদস্য, শিক্ষক বা বন্ধুর কাছে থেকেও অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আর সঠিক পরিকল্পনা ও চেষ্টার মাধ্যমে জীবনে সফল হতে পারি।
তবে সব কিছুর জন্য প্রয়োজন সুস্থ থাকা, কাজ করার মানসিকতা ও স্বপ্ন দেখতে পারা। প্রথম চেষ্টায় সব কাজে আমরা সফল নাও হতে পারি, মনোবল ঠিক রেখে নতুন করে শুরু করতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন সেলফ মোটিভেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এসআইএস