শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় মুখর টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প অঞ্চল। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে চলছে কাপড় বোনার ধুম।
ঈদ উপলে টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান মমিন জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির ব্যবসা এবার জমজমাট। তবে সুতার দাম কম হলে তারা আরও লাভবান হতে পারতেন। তাঁতশিল্প এলাকায় উৎপাদিত কাপড় ব্যাপকভাবে দেশের মার্কেটগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
শিল্প এলাকাগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, শুধু পুরুষরাই নন, নারীরাও এ কাজে যথেষ্ট শ্রম দিচ্ছে। কেউ ব্যস্ত সুতা ছিটায় উঠানোর কাজে, কেউ সুতা পারি করার কাজে, আবার কেউ সম্পূর্ণ সুতা নাটাইয়ে ওঠানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অনেক তাঁতশ্রমিক বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে জড়ো হয়েছেন অধিক আয়ের আশায়। তবে অনেক শ্রমিকের অভিযোগ রয়েছে, কিছু কিছু তাঁতমালিক তাদের বোনাস থেকে বঞ্চিত করে। কিন্তু তাতেও তাদের কান্তি নেই। রোজার শুরু থেকেই প্রায় সব শিল্প এলাকায় বুননকাজ শুরু হয়েছে। এখন শেষ সময়ে টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প এলাকা ধুলোটিয়া, পাথরাইল, নলশোঁধা, তেতুলিয়া, নলুয়া ইত্যাদি গ্রামগুলোতে কাপড় বুননকার্য ব্যপকভাবে চলছে।
তাঁত মালিক ও কাপড় ব্যবসায়ী ওসমান গনি বলেন, ঈদ খুব কাছে চলে আসায় শ্রমিকদের বুননকাজ সমাপ্ত করার জন্য আগেই তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আর তারাও চাহিদা অনুসারে কাপড় তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এবারের ঈদের আকর্ষণ হচ্ছেÑ চিন সুতার তৈরি সফটসিল্ক, দোতারি টাঙ্গাইলের বিখ্যাত জামদানি, তশর, এমব্রয়ডারি-সিকুইন, ব্লক, রেশম কাপড়, উন্নতমানের ফ্রর ফাই ইত্যাদি।
কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চান ব ঈদের আগেই যেন তাদের বোনাসসহ সমস্ত পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে তাঁতমালিকরা জানান, সুতার দাম কমিয়ে ক্রয়মতার ভেতরে আনলে তারা আরও তাঁত বাড়াতে পারবেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫১৫, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১০