ঈদের আর বেশি বাকি নেই। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই।
সাদাকালো
বরাবরের মতোই আছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া এবং ছোটদের পোশাক। শাড়ির দাম পড়বে ৯০০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। বড়দের জন্য পাঞ্জাবি ৬২০-২৫০০ টাকার মধ্যে। ছোটদের পাঞ্জাবি পাবেন ৩৮০-২৫০০ টাকার মধ্যে। ছেলেদের ফতুয়া ৫৫০-৬৮০ টাকা এবং মেয়েদের ফতুয়া ৫৫০-১৫৫০ টাকার মধ্যে। সালোয়ার-কামিজ পাবেন ১০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও জুয়েলারি সামগ্রী যেমন মাটি বা সুতার তৈরি কানের দুল, নেকলেস সেট, গলার সেট, হাতের চুরি, ব্রেসলেট ইত্যাদি পাবেন ৫০-৬০০ টাকার মধ্যে।
কে ক্রাফট
কে ক্রাফটে সুতি শাড়ি পাবেন ৪৬৫-১১০০০ টাকার মধ্যে। সিল্কের দাম পড়বে ৩৫০০-৫০০০ টাকার মধ্যে। মসলিনের শাড়ি পাবেন ৩৫০০-১১০০০ টাকায়। মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ ১২৫০-৫৫০০ টাকার মধ্যে।
ছেলেদের ফতুয়া পাবেন ৪৫০-১৫০০ টাকায়। মেয়েদের ফতুয়া ২৫০-১৫০০ টাকায়। পাঞ্জাবি ৭৫০-৫৫০০ টাকার মধ্যে।
ছোটদের পোশাকের দাম পড়বে ১৯০-১৫০০ টাকায়। জুয়েলারি সামগ্রী, যেমন- চুড়ি, মাটির সেট, কাঠের সেট, ঝুমকা, মেটাল, সেটান এবং রুপার সামগ্রীও পাওয়া যাবে। দাম পড়বে ১০ টাকা থেকে ৫৭০ টাকার মধ্যে।
দেশাল
ব্লকের শাড়ি ৫০০-৯০০ টাকায়। জামদানি শাড়ির দাম পড়বে ৩,০০০ থেকে ১৩,০০০ টাকা। ফতুয়া ৩৫০-৫০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৫০০-৭৫০ টাকা। জুয়েলারির মধ্যে আছে বালা, দুল, হাঁসুলি। দাম ৫০-৬০০ টাকা। দেশালে এই প্রথম স্যান্ডেলের কালেকশন এসেছে। আপনি আপনার পছন্দমতো স্যান্ডেল কিনতে পারবেন ৭৫০-১৫২০ টাকার মধ্যে।
অঞ্জন’স
অঞ্জন’সের শাড়ির মধ্যে এন্ডিকটন পাবেন ৪৫০০-২০,০০০ টাকায়, মসলিন পাবেন ৪৫০০-৩০,০০০ টাকায়।
হাফ সিল্ক পাবেন ২০০০-৫০০০ টাকায়। টাঙ্গাইলের কটন পাবেন ৭০০-২০০০ টাকায় আর এন্ডিসিল্ক পাবেন ২০,০০০ টাকায়। এসব শাড়িতে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ এবং কারচুপির কাজ করা আছে।
পাঞ্জাবির কালেকশনগুলোতেও আছে বৈচিত্র্য। সুতি পাঞ্জাবি পাবেন ৫৬০-১৫,০০০ টাকায়, এন্ডিকটন পাবেন ১২০০-২০০০ টাকায়, সিল্ক পাবেন ১৮০০-২০০০ টাকায়, এন্ডিসিল্ক পাবেন ১৯০০-৩০০০ টাকায়। বাচ্চাদের পাঞ্জাবির মধ্যে কটন পাবেন ৩৫০-৮৫০ টাকায় আর এন্ডিকটন পাবেন ৯০০-১২০০ টাকায়। মেয়েদের ফতুয়া জয়সিল্কের কাপড়ে ১২০০-১৩০০ টাকা, এন্ডিকটন ৯০০-১২০০ টাকা, কটন ৩৫০-১২০০ টাকা।
ছেলেদের ফতুয়া জয়সিল্কে ১২০০-১৩০০ টাকা, এন্ডিকটন ৯০০-১২০০ টাকা, কটন ৩৫০০-৭৫০ টাকা। সালোয়ার-কামিজ পাবেন জয়সিল্ক, মসলিন, এন্ডিসিল্ক, এন্ডিকটন, সিল্ক কটন, সিল্ক এবং কটন কাপড়ে। জয়সিল্কের দাম ৪২৫০ টাকা, মসলিন ৫০০০-৬০০০ টাকা। এন্ডিসিল্ক ৪৫০০-৬০০০ টাকা, এন্ডিকটন ২৫০০-৪০০০ টাকা, সিল্ককটন ১৮০০-২২০০ টাকা, কটন ১০৫০-২৫০০ টাকা এবং সিল্ক ৫০০০-৬০০০ টাকা। বাচ্চাদের ফতুয়ার দাম পড়বে ২৫০-৩০০ টাকা এবং সালোয়ার-কামিজের দাম পড়বে ৮৫০-১৩০০ টাকার মধ্যে। অঞ্জন’সেও এই প্রথম স্যান্ডেলের কালেকশন পাওয়া যাবে, দাম ৭২০ টাকা (শুধু ছেলেদের জন্য)। জুয়েলারির মধ্যে নতুন কালেকশন আছে। রুপার বালা ১১৩৫ টাকা, কানের দুল ২১৫-৮৪০ টাকা, পায়েল ১১৫-১১৫০ টাকা, গোল্ড প্লেটেড পায়েল ৭০০-১৫০০ টাকা।
রঙ
রঙের পোশাকে রয়েছে এবার উজ্জ্বল রঙের সাথে হালকা ও গাঢ় অ্যাশের সমাহার। সুতি শাড়ির দাম ৪৫০-৩০০০ টাকা, মার্সেলাইজ কটন ৭৫০-৩০০০ টাকা, কাতান ১০ হাজার টাকা, এন্ডি সিল্ক ১০ হাজার টাকা। জামদানির দাম পড়বে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং মসলিন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ বছরই প্রথমবারের মতো রঙের শাড়িতে রিবন ওয়ার্ক করা হয়েছে। বাচ্চাদের স্কার্ট পাবেন ৭০০-১০০০ টাকায়, ফতুয়া ১০০০ টাকা এবং টপস ৩৫০-১০০ টাকা, ফ্রক ৪০০-১৩০০ টাকা, শার্ট ১০০০ টাকা এবং টি শার্ট ১৮০-২৫০ টাকায়।
মেটাল, রুপা কিংবা গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারি পাবেন ৫০-১০০০ টাকায়। স্যান্ডেলের দাম পড়বে ১০০০ টাকা।
অন্যমেলা
মসলিনের সালোয়ার-কামিজ পাবেন ৪৪৪৫-৫৭৭৫ টাকা, বলাকা সিল্কের দাম পড়বে ৪৪৪৫-৫০০০ টাকা, এন্ডিকটন ৩০০০-৪০০০ টাকা, এন্ডিসিল্ক ২৯৯৫-৪৯৯৫ টাকা।
শাড়ি পাবেন বলাকা সিল্ক, ৬০০০-১২,২৫৫ টাকা টাকা, মসলিন ৭,৭৭৫-১২৪৪৫ টাকা, এন্ডিসিল্ক ২,৪০০-২৯৯৫ টাকা, খাদি মসলিন ৩৭৭৫ টাকা, কটন ১৪০০-১৬০০ টাকা, বিন্দিকাতান, ২৪০০-২৭০০ টাকা। পাঞ্জাবি পাবেন এন্ডিকটনে, দাম ১৩৮৫-১৪৮৫ টাকা, এন্ডিসিল্ক ১৭৮৫-১৮৮৫ টাকা, ন্যাচারাল এন্ডি এবং ইয়ান্ডাই পাবেন ১৩৮৫-১৪৮৫ টাকায়। জয়সিল্কের পাঞ্জাবি পাবেন ১৪০০-১৮৮৫ টাকায়।
ধুপিয়ান সিল্ক পাবেন ২৯৯৫-৪৫৫৫ টাকায়। ছেলেদের ফতুয়া পাবেন ৩৮৫-১০৮৫ টাকায় এবং মেয়েদের ফতুয়া পাবেন ৬৮৫-১১৮৫ টাকায়। ফতুয়াগুলো হবে সুতি, সিল্ক এবং জয়সিল্কের কাপড়ে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩১০, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১০