সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে মনোবিদ রবিন ডানবার বলেন, খাবার খাওয়া মানে শুধু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণই না। এটি সামাজিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দু’ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, মানুষ একা একা খাওয়ার চেয়ে অন্য কারো সঙ্গে খেলে সেটি তাদের স্বাস্থ্যের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। প্রিয় মানুষ, পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীদের সঙ্গে খাওয়া আর একা একা খাওয়ার মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য কারো সঙ্গে খেলে নিজের সম্পর্কে ভালো অনুভব করে মানুষ। জীবন নিয়ে সন্তোষ অনুভবের পাশাপাশি সামাজিক সংযোগ বাড়ে। এতে মন প্রফুল্ল থাকে এবং যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ে।
ডানবার জোর দিয়ে বলেন, সুখি মানুষের মধ্যে অন্যের সঙ্গে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি তা নয়, আমার জরিপ থেকে বোঝা যায়, অন্য মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মানুষ আনন্দ খুঁজে পায়।
চিরকালই মানুষের সঙ্গে মানুষের গল্পের, যোগাযোগের স্থানের মধ্যে ছিল রেস্তোরাঁ, ক্যাফেসহ বিভিন্ন খাবারের দোকান। বন্ধু, পরিবার বা কারো সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলে মানুষ তাদের দাওয়াত দেয়, খাবারের আয়োজন করে। তাই একসঙ্গে খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্য কখনো শুধুই পুষ্টি নিয়ে ভাবনা ছিল না।
প্রতিদিন অন্তত একবেলার খাবার অন্য মানুষের সঙ্গে খাওয়া উচিত। এ অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এফএম