বিশেষ এই দিনটি ২০২০ সালের জন্য আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই বছরেই হচ্ছে বিশ্ব নেতার শততম জন্মদিন, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী।
তার বর্ণাঢ্য জীবনের কথা আমরা জানি। মৃত্যুর পরে কোথায় শায়িত আছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান?
ঘুরে এসে সেখানকার কথাই জানিয়েছেন ট্রাভেলার ফরিদ ফারাবী। নিলফা বাজার পেরিয়ে মধুমতি নদীর তীরে পাটগাতি হয়ে টুঙ্গিপাড়া।
বিশাল এলাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স। এত বড় আর এতটা গোছানো তা অবশ্য ভাবিনি। অনেকক্ষণ মুগ্ধ হয়ে ঘুরলাম।
সমাধি কমপ্লেক্সের পাশেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। রাস্তা ধরে কিছু দূর এগুতেই চোখে পড়লো লাইব্রেরি ভবন। ঐতিহাসিক ছবিসহ গ্যালারি ও নানা বই পুস্তক সম্বলিত লাইব্রেরি রয়েছে এখানে। পাশে চমৎকার স্থাপত্যের একটি মসজিদও রয়েছে।
গোপালগঞ্জ শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে নিরিবিলি এই উপজেলার আশেপাশের গ্রাম, ধানক্ষেত, নদী যে কাউকে মোহিত করবে নিশ্চিত। এমন মাটির সন্তানইতো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হওয়ার যোগ্য।
আপনারা টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পারেন খুব সহজে। নিজের গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে টুঙ্গিপাড়া যেতে পারেন। গুলিস্তান থেকে গোপালগঞ্জের বিআরটিসি এসি বাস রয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া হয়েও টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। সায়দাবাদ থেকে ‘দোলা পরিবহন’ এবং ফুলবাড়িয়া থেকে ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ নামে টুঙ্গিপাড়ার সরাসরি বাস সার্ভিসও রয়েছে। বাস ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে পাঁচ ঘণ্টার মত সময় লাগতে পারে। রাত্রি যাপনের জন্য আশেপাশে পর্যটনের একটা রেস্টহাউস ছাড়াও আরও কিছু রেস্টহাউস রয়েছে।
সময় করে প্রিয় সন্তানকে দেখিয়ে আনুন, ছোট একটি গ্রামের গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে রয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আমাদের জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স ও গ্রাম-বাংলার সৌন্দর্য দেখে কাটিয়ে আসতে পারেন সুন্দর কিছু সময়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এসআইএস